অভ্রবরণ চট্টোপাধ্যায়, শিলিগুড়ি: ফের প্রকাশ্যে রাজ্য ও রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদল নিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। এসএসসি দুর্নীতি মামলা থেকে নজর ঘোরাতেই রাজ্য সরকার এই ধরনের ভাবনাচিন্তা করছে বলেই মত তাঁর।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় বলেন, “প্রতিদিন দুর্নীতির বেলুন বড় হচ্ছে। যারা পরীক্ষায় অংশ নেয়নি, মেধাতালিকায় নেই, তাদের চাকরি দেওয়া হয়েছে। এটা এসএসসি দুর্নীতি মামলা (SSC Scam) থেকে নজর ঘোরানোর কৌশল মাত্র। শিক্ষার মন্দিরে এই ধরনের দুর্নীতি আমরা মানতে পারব না। এভাবে কিছু পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে। কিছু যোগ্য ছেলেমেয়ে প্রতিনিয়ত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। আমার দায়িত্ব সংবিধানকে রক্ষা করা। রাজ্যপালের ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছে রাজ্য সরকার। কিন্তু যতক্ষণ না আইন আনা হচ্ছে। কোনও লিখিত বিজ্ঞপ্তি জারি হচ্ছে, ততদিন ভাবছি না।”
[আরও পড়ুন: আন্দোলনের আঁতুড়ঘর যাদবপুরের ১০ জনকে কোটি টাকা চাকরির প্রস্তাব গুগল, আমাজনের]
গত বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। ওই বৈঠকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে বদল নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রস্তাব করা হয় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের বদলে আচার্য পদে আনা হোক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (CM Mamata Banerjee)। বলে রাখা ভাল, শুধু বাংলা নয়। দক্ষিণ ভারতের একাধিক অবিজেপি রাজ্য যেমন কেরল, তামিলনাড়ুও আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে আনার পক্ষে।
বাংলায় আইন সংশোধনের প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছিল বহু আগে। ২০০৭ সালে বিচারপতি মদনমোহন পুঞ্চির নেতৃত্বে ‘পুঞ্চি কমিশন’ তৈরি হয়। সেই কমিশনের ২৭৩ টি সুপারিশের মধ্যে একটি ছিল এটি। রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসুন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সুপারিশকে হাতিয়ার করেই তৃণমূল শাসিত বাংলার সরকার মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর তোড়জোড় শুরু করেছে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় শুধু রাজ্যপালই নন, সরব শিক্ষাবিদরাও।
দেখুন ভিডিও: