সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: উত্তরবঙ্গ সফর সেরে ফিরেই কেতুগ্রামের নার্সের হাত কেটে নেওয়ার ঘটনায় মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আহত নার্সের চিকিৎসার ভার রাজ্যের, এমনটাই ঘোষণা করলেন তিনি। পাশাপাশি, ওই তরুণীর চাকরিতে যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয় সেদিকটাও দেখা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মমতা।
বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেই ভবানীপুরে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেখান থেকেই কেতুগ্রামের নার্স রেণু খাতুনের পরিণতির জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন যে, ওই তরুণীর চিকিৎসার সমস্ত দায়িত্ব নেবে রাজ্য। জানান, আপাতত রেণুর সাধ্যমতো কাজেই নিযুক্ত করা হবে তাঁকে। অর্থাৎ হাত ব্যবহার না করে যতটুকু কাজ করা সম্ভব হবে রেণুর পক্ষে, ততটুকুই করবেন। পরবর্তীতে নকল হাতের ব্যবস্থা করা হবে রাজ্যের তরফেই। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, হাসপাতালে ভরতি হওয়ার পর স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা নেননি রেণু। কেন এমনটা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণায় স্বাভাবিকভাবেই খানিকটা স্বস্তিতে তরুণী।
[আরও পড়ুন: সাইকেল রাখা নিয়ে বিবাদ, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে খুন, কাঠগড়ায় TMC নেতা]
উল্লেখ্য, কেতুগ্রামের (Ketugram) কোজলসা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি আক্রান্ত রেণু খাতুন নামে ওই তরুণীর। বাপেরবাড়ি কেতুগ্রামের চিনিসপুর গ্রামে। চিনিসপুর গ্রামের বাসিন্দা আজিজুল হকের ছোট মেয়ে রেণু। ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে কোজলসা গ্রামের বাসিন্দা সিরাজ শেখের একমাত্র ছেলে শের মহম্মদ শেখ ওরফে শরিফুলের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। রেণু নিজে নার্সিং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্স পদে চাকরি করছিলেন। ফলে সরকারি চাকরির চেষ্টা করছিলেন। সম্প্রতি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি। কয়েকদিন আগেই প্যানেলে নাম ওঠে তাঁর। শুধু চাকরিতে যোগ দেওয়ার অপেক্ষায় ছিলেন। সরকারি চাকরি পেলে স্ত্রী হাতছাড়া হয়ে যাবে। এই আশঙ্কার তাঁর ডান হাত কেটে দেয় শরিফুল। ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।