নন্দন দত্ত, সিউড়ি: অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ মেনেই ব্লকে ব্লকে গুড়-বাতাসা খাওয়ালেন তৃণমূল সমর্থকেরা। ব্লকে আসা নিজেদের সমর্থকদের পাশাপাশি বহিরাগতদেরও গুড়, বাতাসা খাওয়ালেন তৃণমুলের স্থানীয় নেতারা। কোথাও কোথাও আঁখের রস, আইসক্রিমের ঠেলা গাড়িও হাজির হয়ে গেল। ঠিক যেন মেলার আসর বসে গিয়েছে!
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলছেন, ‘গ্রামবাংলায় নির্বাচন মানে সাধারণ উৎসব। সেই উৎসবে মেতেছেন আমাদের সমর্থক ও গ্রামবাসীরা।’ পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সমর্থকদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার জন্য এলাহি ব্যবস্থা করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। একদিকে চলছে উৎসব। অন্যদিকে তাঁদের এই সমবেত থাকাটাই দলের শক্তি হিসাবে কাজে লাগানো হচ্ছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। কোথাও চিংড়ি পটল, কোথাও গোটা ডিমের ঝোল-ভাত, তো কোথাও এঁচোরের তরকারি। সকালে শালপাতার ঠোঙায় করে মুড়ি-ঘুগনি। এলাহি ব্যবস্থা ব্লকের বাইরে তৃণমূলের শিবিরে।
[‘কে সন্ত্রাস করে দেখে নেব’, গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএমের প্রার্থী ৭৪ বছরের ‘তরুণী’ নমিতা]
বৃহস্পতিবার সকালে সিউড়ি দুই ব্লকের পুরন্দরপুরে গিয়ে এমনই গুড় বাতাসা বিলির ছবি ধরা পড়ল। সকাল সকাল ব্লকের সামনে খেলার মাঠের বাইরে বিশাল প্যান্ডেল খাটানো হয়েছে। সেখানে কর্মীরা মুড়ি ঘুগনি খাচ্ছেন। ভিতরে তখন পটল, আলু ও চিংড়ির তরকারি নেমেছে। প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজার জনের খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। ব্লক সভাপতি নুরুল ইসলাম জানালেন, “আমাদের ব্লকে যাঁরাই এসেছেন, তাঁদেরই গুড় বাতাসার সঙ্গে সঙ্গে মুড়ি, দুপুরে ভাত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “পঞ্চায়েত ঘোষণার পরপরই গ্রামে গ্রামে উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে।” তাঁর আশা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের খতিয়ান দেখেই মানুষ তাঁদের জেতাবেন।
সিউড়ি এক ব্লকের কড়িধ্যা গ্রামে ব্লক অফিসের চারদিকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। কিন্তু ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে নীল সাদা কাপড়ে ঢাকা বিশাল ম্যারাপ বাধা হয়েছে। অন্যদিকে, কালীপুর দিয়ে ঢোকার পথেই পার্টি অফিস থেকে বিলি হচ্ছে সকালের জলখাবার। সিউড়ি এক ব্লকের সভাপতি স্বর্ণ সিংহ বলেন, কর্মীরা সারাদিন ব্লক অফিসে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আছে। তাঁরাই নিজেরা এই খাবারের আয়োজন করেছে। রামপুরহাট মহকুমা শাসকের দপ্তরে আবার বিরিয়ানির প্যাকেট বিলি করা হচ্ছে শাসক দলের পক্ষ থেকে। কারণ এখানেই জেলা পরিষদের ১৮ জন প্রার্থী তাঁদের মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন। ময়ূরেশ্বর দুই ব্লকের কোটাসুরে একই অবস্থা। মল্লারপুরে জাতীয় সড়কের পাশে ব্লক অফিস। ময়ূরেশ্বর দুই ব্লকে কোটাসুর পার্টি অফিসে ভান্ডারা বসানো হয়েছে মনোনয়ন উপলক্ষ্যে।
[সংরক্ষণের গেরোয় ভোট মরশুমে রীতিমতো তারকা বাঁকুড়ার আলপনা মোদক]
The post অনুব্রতর নির্দেশ মেনে ভোট ‘উৎসবে’ বীরভূমে ব্লকে ব্লকে গুড়-বাতাসা বিলি appeared first on Sangbad Pratidin.
