সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একশো দিনের কাজে ফের দেশের মধ্যে সেরা হল পশ্চিমবঙ্গ। পরিসংখ্যান বলছেন, বাংলায় মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ রোজগার গ্যারান্টি আইনের অধীনে ৭৭ শতাংশ কাজ হয়েছে। বাংলাই এই নিরিখে শীর্ষস্থানে। অনেক পিছিয়ে দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ। চন্দ্রবাবু নায়ডুর রাজ্যে কাজ হয়েছে ৫৫.৯২ শতাংশ। এই পরিসংখ্যান রাজ্যসভায় পেশ করেছেন গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী রাম কৃপাল।
[আরও পড়ুন: মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হচ্ছেন বরখাস্ত বিএসএফ জওয়ান তেজ বাহাদুর যাদব]
ভোটের আগে নিজেদের উন্নয়নের ফিরিস্ত নিয়ে মানুষের দ্বারস্থ হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। মোদি-মমতা-রাহুল প্রত্যেকেরই দাবি তাঁদের আমলে, বা তাঁদের শাসনে সাধারণ মানুষের উন্নয়ন সব থেকে বেশি হয়েছে। এ বলে আমায় দেখ, ও বলে আমায়। কিন্তু পরিসংখ্যান কী বলছে? তা অনেকেই জানেন না। গ্রামীন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে কিন্তু পরিসংখ্যান মমতাকেই এগিয়ে রাখছে। দেখা যাচ্ছে, একশো দিনের কাজে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির তুলনায় কয়েক যোজন এগিয়ে বাংলা।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ মানস ভুঁইয়ার করা প্রশ্নের উত্তরে রাম কৃপাল যে পরিসংখ্যান পেশ করেছেন, সেই পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলায় একশো দিনের কাজ সবচেয়ে বেশি হয়েছে। মোদির রাজ্য গুজরাট অনেক পিছনে। অন্যান্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির অবস্থাও খুব একটা সন্তোষজনক নয়। পরিসংখ্যান বলছেন, বাংলায় হয়েছে ৭৭ শতাংশ কাজ। দ্বিতীয় স্থানে অন্ধ্রপ্রদেশ (৫৫.৮২ শতাংশ), তৃতীয় স্থানে মধ্যপ্রদেশ (৫১.২৭)। অন্য বড় রাজ্যগুলির মধ্যে উত্তরপ্রদেশে কাজ হয়েছে ৪১.৫৭ শতাংশ, মহারাষ্ট্রে ৪৬.২৩ শতাংশ, তামিলনাড়ুতে ৪৪.৪৮ শতাংশ। গুজরাটে কাজ হয়েছে ৪৫.০৭ শতাংশ। এমনকী উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলিতেও একশো দিনের কাজ গুজরাটের থেকে অনেক ভাল হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ইউপিএ জমানায় ১১ বার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয়েছিল, দাবি কেসিআরের]
এ বিষয়ে উল্লেখ করা প্রয়োজন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেও একশো দিনের কাজকে হাতিয়ার করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যের শাসক শিবির প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, মমতার নেতৃত্বাধীন সরকার তৈরি হলে, সেই সরকার একশো দিনের কাজ বছরে দুশো দিন করে দেবে। সেই সঙ্গে দ্বিগুণ করা হবে মজুরিও।
The post ১০০ দিনের কাজে ভারতসেরা মমতার বাংলা, অনেক পিছিয়ে মোদির গুজরাট appeared first on Sangbad Pratidin.
