সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ন্যাজাট-কাণ্ডে পুলিশের জালে আরও এক। দুর্ঘটনার তদন্তে নেমে আরও এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃত ব্যক্তির নাম গোলাম হোসেন মোল্লা। ধৃত এই ব্যক্তিও শেখ শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। ফলে ক্রমশ শাহজাহান মামলায় অন্যতম সাক্ষী ভোলা ঘোষকে খুনের চেষ্টার দাবিই জোরাল হচ্ছে? অন্যদিকে ভোলা ঘোষকে নিরাপত্তা দিল স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। তাঁর এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের নিরাপত্তায় বাড়িতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ।
রহস্যজনক গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত ভোলানাথ ঘোষ ইতিমধ্যে শাহজাহান-সহ তাঁর সহযোগী ৮ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্তে নেমে শনিবারই উত্তম সর্দার ওরফে সুশান্তকে পোলেরহাট এলাকা থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। একটি গোপন আস্তানা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত উত্তম শাহাজাহান ঘনিষ্ঠ। শুধু তাই নয়, ২০২৪ সালে সন্দেশখালিতে ইডির উপর হামলার ঘটনায় উত্তম সর্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে জামিনে ছিলেন। ভোলা ঘোষকে খুনের ষড়যন্ত্রের মামলায় ফের পুলিশের জালে উত্তম। অন্যদিকে রুহুল কুদ্দুস শেখ নামেও এক ব্যক্তিকে শনিবার গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
দফায় দফায় ধৃত দুজনকে জেরা করা হচ্ছে। এরমধ্যেই ঘটনার চতুর্থদিনের মাথায় পুলিশের জালে আরও এক। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসনাবাদ থানা এলাকা থেকে গোলাম হোসেন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে হাতেনাতে তাঁকে ধরা হয়। ধৃত গোলাম হোসেন মোল্লার বাড়ি হাটগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের শিমুরআঁটি এলাকায়। তবে তাৎপর্যপূর্ণভাবে ধৃতেরও নাম নেই ভোলা নাথ ঘোষের দায়ের করা এফআইআরে। অন্যদিকে খোঁজ নেই ঘাতক লরির চালকেরও। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
বলে রাখা প্রয়োজন, সন্দেশখালির ত্রাস শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে সিবিআই যে মামলা করেছে, সেই মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন ভোলানাথ ঘোষ। গত সপ্তাহে একটি কাজে আদালতে যাচ্ছিলেন তিনি। ভোলানাথের সঙ্গেই গাড়িতে ছিলেন ছোটো ছেলে ও চালক। ন্যাজোটের বয়ারমারি পেট্রোল পাম্পের সামনে একটি ট্রাকের সঙ্গে ভোলানাথ ঘোষের গাড়ির একেবারে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ভোলা ঘোষের ছেলে ও চালকের। ঘটনায় গুরুতর আঘাত পান ভোলানাথ ঘোষ। প্রশ্ন ওঠে, ষড়যন্ত্র করেই ভোলানাথকে খুনের চেষ্টা করা হচ্ছিল? এমনকী শেখ শাহাজাহানের নাম ফের একবার সামনে আসে।
