অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: নাবালিকাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে গ্রেপ্তার বিজেপি নেতা। ধৃত ব্যক্তির নাম দীপসোনা ঘোষ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দীপসোনা ঘোষের বাড়ি খড়গপুর শহরেই। তিনি ওই এলাকার এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে খবর। ওই মহিলার নাবালিকা কন্যাকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে ওই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের পর থেকে অভিযুক্ত এই বিজেপি নেতার উল্কার গতিতে রাজনীতিতে উত্থান। বিজেপির সভা, মিছিলেও তাঁকে সামনের সারিতে দেখা গিয়েছে। পরে তিনি বিজেপির মণ্ডল সভাপতিও হন। এক মহিলার সঙ্গে তিনি পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে অভিযোগ। চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ওই মহিলার নাবালিকা কন্যাকে দীপসোনা ঘোষ যৌন হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। ওই নেতার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ অভিযান চালায়। খড়গপুরের সুভাষপল্লি এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পকসো ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
আজ, শুক্রবার ধৃতকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। যদিও বিজেপির মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সমিত মন্ডল বলেন, "দীপসোনা এখন কোনও দায়িত্বে নেই। আর গোটা দেশে ১৮ কোটি সদস্যের মত তিনিও সদস্য রয়েছেন।" তবে রেলশহর খড়গপুরের বিজেপির এক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, "এসব জঞ্জালকে পুষে না রেখে সরাসরি বহিষ্কার করে সকলকে জানিয়ে দেওয়া উচিত ছিল। কারণ, এই ধরনের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও দলের এক মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্ৰেপ্তার হতে হয়েছিল।"
এদিকে তৃণমূলের খড়গপুর শহর কোর কমিটির অন্যতম সদস্য তথা মেদিনীপুর খড়গপুর উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ সরকার বলেন, "কী আর বলব। সাধুসন্তদের দল বলে দাবি করা বিজেপিতে এধরনের নেতা কীভাবে রয়েছে, সেটাই অবাক লাগে। এরা এখন ভোগ ছাড়া কিছুই জানে না।"
