দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বধূর রহস্যমৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানা এলাকায়। মৃতার পরিবারের সদস্যদের আচরণে সন্দেহ হওয়ায় শুক্রবার রাতে শ্মশান থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠাল পুলিশ। কীভাবে মৃত্যু হল বধূর? কেনই বা পুলিশকে এড়িয়ে দেহ দাহ করার চেষ্টা করছিল পরিবারের সদস্যরা, তা জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
[আরও পড়ুন: মোবাইল চোর সন্দেহে বেধড়ক মারধর যুবককে, উলঙ্গ করে ঘোরানোর অভিযোগ বনগাঁয়]
দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকুলতলা থানার দুর্গানগরের বাসিন্দা শম্ভুনাথ সর্দার। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রী মন্দা সর্দারের সঙ্গে অশান্তি চলছিল ওই ব্যক্তির। শুক্রবার সকালে পারিবারিক বিবাদ চরমে ওঠে। এরপরই কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই বধূ। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় পরিবারের সদস্যরাই তাঁকে উদ্ধার করে পদ্মেরহাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অভিযোগ, এরপর স্ত্রীর মৃত্যুর খবর কার্যত গোপন রেখেই রাতেই গোঁড়েরহাট শ্মশানে দেহ নিয়ে যায় শম্ভুনাথ ও তার পরিবারের সদস্যরা। এতেই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। এরপর প্রতিবেশীরাই খবর দেন পুলিশে।
খবর পেয়েই তড়িঘড়ি শ্মশানে হাজির হন বকুলতলা থানার পুলিশ। দাহ করার আগের মুহূ্র্তে শ্মশান থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠান তাঁরা। তাঁদের প্রশ্ন, যদি আত্মঘাতী হয়ে থাকেন পদ্মাদেবী, তবে কেনও তাঁর মৃত্যুর খবর গোপন করা হল প্রতিবেশী ও পুলিশের কাছ থেকে? কেনই বা হাসপাতালের তরফেও পুলিশকে জানানো হল না ঘটনাটি, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তদন্তকারীদের অনুমান, আত্মহত্যা নয় অশান্তির কারণেই খুন করা হয়েছে মন্দাদেবীকে। সেই কারণেই প্রমাণ লোপাটের জন্য সকলের অলক্ষ্যে দেহ দাহ করার পরিকল্পনা করেছিল অভিযুক্ত। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই স্পষ্ট হবে মৃত্যুর কারণ। এরপরই শুরু হবে তদন্ত।
