শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: ঘরে প্রচুর রুপো (Silver) জমেছিল। তা বদল করে ওই টাকায় সোনার গয়না কেনার পরিকল্পনা ছিল পরিবারের। সেই পরিকল্পনা মতো বাজারের সোনার দোকানে তা এনে বিক্রি করার আগেই সমস্ত রুপো ছিনতাই করে পালাল মহিলা ডাকাতদের একটি দল। রোমহর্ষক ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে(Raigunj)। এখনও ছিনতাই হওয়া রুপো উদ্ধার করা যায়নি। কেউ গ্রেপ্তারও হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে জমানো রুপোর এভাবে খুইয়ে সর্বহারা পরিবার।
নয় নয় করে জমেছিল ৩৫০ ভরি রুপো। আজকের বাজারে দাম আড়াই লাখের বেশি। সেই রুপো বিক্রি করে সোনার গয়না (Gold Jwellery) কেনার পরিকল্পনা ছিল রায়গঞ্জের বিন্দোলের এক পরিবারের। সোমবার সন্ধেবেলা একটি ব্যাগে সেই রুপো নিয়ে রায়গঞ্জে স্টেট ব্যাংকের মূল কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ের একটি সোনার দোকানে যাচ্ছিলেন ২ ব্যক্তি। কিন্তু পৌঁছনোমাত্রই তাঁরা ডাকাতদলের পাল্লায় পড়েন। পরিবারের ২ কর্তার কথায়, দোকানে আগে থেকেই জানানো ছিল যে রুপোর বদলে ওই দামের সোনার গয়না নেওয়া হবে। সেইমত সোমবার দোকানে পৌঁছনোর পর তাঁরা দেখেন, জনা তিনেক মহিলা তাঁদের ‘ফলো’ করছেন।
[আরও পড়ুন: নবান্ন অভিযানে মিনাদেবী পুরোহিতকে নিগ্রহ পুরুষ পুলিশ কর্মীর! সিপির কাছে রিপোর্ট তলব জাতীয় মহিলা কমিশনের]
দোকানি জানান, ওই মহিলাদের দেখে তাঁর সন্দেহ হয়েছিল। তিনি তাঁদের ডেকে জিজ্ঞাসা করেন, ওখানে কী করছেন তাঁরা। এই প্রশ্ন শুনে রেগে ওঠেন তিন মহিলা। এরপর দোকানদারের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়। এসবের মাঝে আচমকা রুপোর মালিকরা নিজেদের ব্যাগ খুঁজতে গিয়ে দেখেন, ব্যাগ উধাও। ব্যাগের খোঁজ শুরু করতে করতে দেখা যায়, ওই তিন মহিলা সেখান থেকে চম্পট দিয়েছে। তাতেই রুপোর মালিকরা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যান যে বচসা বাঁধিয়ে সকলের মনোযোগ অন্যদিকে রেখে রুপোর ব্যাগটি ছিনতাই করে পালিয়েছে তারা। জমানো সম্পদ প্রায় সর্বহারা ওই পরিবার।
[আরও পড়ুন: ‘মুখে বলে প্রমাণ করতে হল তিনি পুরুষ’, ‘আলুভাতে’র পর শুভেন্দুকে নয়া কটাক্ষ কুণালের]
এহেন ঘটনা নিয়ে পুলিশের বক্তব্য, কেউ তাদের কাছে কোনও অভিযোগ করেনি। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে তার তদন্ত শুরু হয়নি এখনও। তবে ছিনতাইয়ের (Dacoity) খবর পেয়ে পুলিশ ওই ডাকাতদলের খোঁজ শুরু করেছে। রায়গঞ্জের অদূরে সুভাষগঞ্জ নামে এক গ্রামের বাসিন্দা ৩ মহিলা চুরি, ছিনতাইতে সম্প্রতি বেশ হাত পাকিয়েছে, এর আগেও তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ কর্তা। ফলে রুপো ছিনতাইও তাদেরই কাজ বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।