অরূপ বসাক, মালবাজার: উত্তরবঙ্গে ফের চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করার চেষ্টা। ক্রেতা সেজে বমাল এক যুবককে ধরে ফেললেন বনদপ্তরের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে মালবাজারে ওদলাবাড়িতে।
[নেকড়ের আক্রমণে আহত একাধিক, ঝাড়গ্রামে ফিরছে আতঙ্কের দিন]
ধৃত যুবকের নাম আশিস ছেত্রী। তার বাড়ি দার্জিলিংয়ে। গত কয়েকদিন ধরেই চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করার জন্য ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। গোপন সূত্রে সেই খবর পান বনদপ্তরের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত। ওই যুবককে ধরার জন্য পরিকল্পনা তৈরি করেন তিনি। বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ক্রেতা সেজে আশিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন সঞ্জয়বাবু। জানান, তিন লক্ষ টাকার বিনিময়ে চিতাবাঘের চামড়া কিনতে চান তিনি। দার্জিলিংয়ের ওই যুবকও রাজি হয়ে যায়। ঠিক হয়, মালবাজারে ওদলাবাড়ি শহরের একটি ধাবায় চিতাবাঘের চামড়াটি হাতবদল হবে। সেইমতো নির্দিষ্ট সময়ে ধাবায় পৌঁছে যান বনদপ্তরের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত। যথারীতি চিতাবাঘের চামড়া বিক্রি করতে হাজির হয় আশিসও। আগে থেকে ওদলাবাড়ির ওই ধাবার আশেপাশে লুকিয়ে ছিলেন বনদপ্তরের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। চিতাবাঘের চামড়া-সহ ধরা পড়ে যায় ওই যুবক।
কিন্তু, চিতাবাঘের চামড়া ওই যুবক পেল কোথা থেকে, তা খতিয়ে দেখছে বনদপ্তর। দিনকয়েক আগেই এই ওদলাবাড়ি থেকে চিতাবাঘের চামড়া-সহ ৫ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারের চা-বাগান লাগোয়া এলাকা থেকে একটি চিতাবাঘ শিকার করে ধৃতেরা। বাঘের মাংস রান্না করে খেয়েছিল তারা। এরপর চামড়াটি বিক্রির জন্য হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ তৈরি করে ক্রেতা খুঁজছিল ওই পাঁচজন। সেই গ্রুপে ঢুকে পড়েছিলেন বনদপ্তরের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্সের প্রধান সঞ্জয় দত্ত। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় গুণধরদের৷
[হাওয়া বদলের মরশুমে ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে]
The post ক্রেতা সেজে বাজিমাত বনকর্মীদের, ডুয়ার্সে চিতাবাঘের চামড়া-সহ গ্রেপ্তার ১ appeared first on Sangbad Pratidin.
