নব্যেন্দু হাজরা: হাই সুগার। মিষ্টি খাওয়া ছেড়েছি আড়াই বছর। কিন্তু বড়দিনে একটু কেক খাব না হয়!
বৃহস্পতিবার বিকেলে নিউ মার্কেটের একশো বছরের প্রাচীন কেকের দোকানের লাইনে দাঁড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন বৈদ্যবাটির বটব্যালবাবু। অফিসফেরত এসেছিলেন। প্রায় শ’দেড়েক লোকের পিছনে দাঁড়িয়ে তিনি। তাতেও চোখেমুখে কোনও বিরক্তি নেই।
বড়দিন হতে আরও দুটো দিন বাকি। কিন্তু বৃহস্পতিবারের বিকেলে নিউমার্কেটের অন্দরের কেকের দোকানের ভিড় দেখে কে বলবে সেকথা! বড়দিনের উৎসব যেন এগিয়ে এসেছে। সাপের মতো এঁকেবেঁকে গিয়েছে কেক কেনার লাইন। দোকানের কর্মী অতনু চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সারা বছর মেরেকেটে দিনে ৮-১০ পাউন্ড বিক্রি হয়। কিন্তু বড়দিনের আগে পরে অন্তত ১০ দিনে গড়ে ১০০০ পাউন্ডের বেশি বিক্রি। এখানকার স্পেশাল ফ্রুট কেকটার সবথেকে বেশি বিক্রি।’’ তাঁর কথায়, যতদিন যাচ্ছে, তত যেন কেক কেনার হিড়িক সাধারণ মানুষের মধ্যে বাড়ছে। আগে এতটা ছিল না। শুধু এই দোকান নয়, নিউ মার্কেটের সবকটি কেকের দোকানের চিত্রই খানিকটা এক।
[আরও পড়ুন: বড়দিনের নয়া উন্মাদনা, সান্তাক্লজ শাড়িতে মেতেছে বঙ্গনারীরা]
নানা ভ্যারাইটির কেকের সম্ভার নিউ মার্কেটে। ফ্রুট কেক, স্ট্রবেরি কেক, স্ট্রবেরি ভ্যানিলা, চকোলেট, লেমন, অরেঞ্জ, কফি, ওয়ালনাট, ম্যাডেরিয়ার মতো নানা ফ্লেভারের কেক রয়েছে এখানে। তবে সব কেকের দোকানের মালিকদেরই বক্তব্য, সারাবছর প্যাস্ট্রির চাহিদা থাকলেও বড়দিনে মূলত ফ্রুট কেকই বিকোয় বেশি। তবে ২৫ ডিসেম্বর উপলক্ষে সব দোকানই নতুন নতুন স্বাদের কেক এনেছে।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, গত দু’বছর বাজার কিছুটা খারাপ ছিল। কিন্তু এবার বাজার জমজমাট। দাম বেড়েছে ঠিকই কিন্তু মানুষ কিনছেনও। আর তাই এই মুহূর্তে বেকারির কর্মচারীদের এক মুহূর্ত দম ফেলার ফুরসৎ নেই। পশ্চিমবঙ্গ বেকারি মালিকদের জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির সম্পাদক বিধায়ক ইদ্রিস আলি বলেন, ‘‘কাঁচামালের দাম বাড়ায় কেকের দাম একটু বেশি। তবে প্রচুর চাহিদা।’’