সন্দীপ চক্রবর্তী: আমফান বিধ্বস্তদের সাহায্যের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ইতিমধ্যেই ৫০ লক্ষ টাকা সাহায্য করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। সেকথা উল্লেখ করে শুক্রবার দুপুরেই রাজ্যপালের প্রশংসা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে বৈঠক। মূলত আমফান, করোনা এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে এই বৈঠকে আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে এ প্রসঙ্গে একটি টুইটও করেন জগদীপ ধনকড়। আমফান বিধ্বস্তদের দ্রুত ত্রাণ বণ্টনের নির্দেশ দেন রাজ্যপাল।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে করোনা ও আমফান পরবর্তী রাজ্যের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। ঘণ্টাদুয়েকের বেশি সময়ের এই বৈঠকে স্বাভাবিভাবেই উঠেছিল পরিযায়ী শ্রমিক প্রসঙ্গ। রাজভবন সূত্রে রাতে এই বৈঠকের কথা জানানো হয়েছে। প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে যে কীভাবে করোনা সংক্রমিত বিভিন্ন রাজ্য থেকে ট্রেন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আসার পর এই রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে সে ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন মুখ্যসচিব। তবে এই পরিস্থিতিতেও রাজ্যকে সচল ও পুরনো ছন্দে ফেরানোর চেষ্টা করছে নবান্ন। আমফানের ক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজের প্রশংসা আগে করেছিলেন রাজ্যপাল। তবে কিছু ক্ষেত্রে বিতর্কও দেখা গিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসেও প্রশংসা করেছেন। রাজ্য যে দুর্গতদের সাহায্য প্রদান করেছে, সেই তথ্য জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
[আরও পড়ুন: কলকাতা পুলিশে ফের বিক্ষোভ, বিধাননগরের পুলিশ ব্যারাকে ভাঙচুর]
এই বৈঠকের কথা উল্লেখ করে টুইটও করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তিনি লেখেন, “প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। করোনা, আমফান এবং পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে যাবতীয় পদক্ষেপ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে দ্রুত ত্রাণ পাঠানোর বন্দোবস্ত করার কথা বলেছি।”
রাজভবন-নবান্ন সম্পর্ক কখন ভাল থাকে আর কখন নয়, তা বোঝা দায় বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের। তবে শুক্রবারের বৈঠকে সংঘাতের পরিস্থিতি কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হল বলেই মনে করছেন অনেকেই।
[আরও পড়ুন: দমকলের গাড়ির ধাক্কায় দমকল কর্মীরই মৃত্যু, বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ]
The post ‘আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের দ্রুত ত্রাণ পাঠান’, মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে নির্দেশ রাজ্যপালের appeared first on Sangbad Pratidin.