বিভিন্ন ধরনের ‘ফ্রড’ তথা জালিয়াতি চলছে লগ্নির দুনিয়ায়। ইনভেস্টমেন্ট স্ক্যাম সংক্রান্ত সতর্কবার্তা নিয়েছেন আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। উচ্চ হারে রিটার্ন পাওয়ার কথা বলে অসাধু ব্যক্তিরা অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের বিশ্বাসের সুযোগ নিচ্ছে। তাই স্ক্যামের হাত থেকে বাঁচতে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলতে উপদেশ দেওয়া হচ্ছে।
কীভাবে স্ক্যাম এড়িয়ে যেতে পারবেন ব্যাঙ্কের গ্রাহক এবং বিনিয়োগকারীরা? কয়েকটি বিশেষ পরামর্শ তালিকাবদ্ধ করা হয়েছে–
১. বিনিয়োগের সুযোগ সংক্রান্ত ফোন কল আসতে পারে। বড় মাপের রিটার্ন, ঝুঁকি ছাড়া বা খুব কম ঝুঁকিপূর্ণ, পাওয়া যাবে, এমনই দাবি করা হবে। এই সব কল এড়িয়ে যাবেন, হাতছানিতে ভুলবেন না।
২. লগ্নির সুযোগ আছে, এমন বার্তা পেলে কোনও পদক্ষেপ করার আগে ভাল করে পড়াশোনা করে নেবেন। নিজের ‘রিসার্চ’ করার ব্যাপারে মনে করিয়ে দিচ্ছেন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
৩. এছাড়াও প্রথমেই দেখা উচিত সংশ্লিষ্ট সংস্থা যথাযথভাবে ‘রেজিস্টার্ড’ কি না। কোন নিয়ন্ত্রক এক্ষেত্রে নিয়মকানুন ঠিক করে, তা-ও জেনে নিতে হবে।
৪. নিজের উপদেষ্টার সঙ্গে কথা না বলে এক পাও এগিয়ে যাবেন না। অনিয়ন্ত্রিত সংস্থায় বিনিয়োগ করে ঠকে গিয়েছেন, এমন গ্রাহকের সংখ্যা কম নয়। এঁদের দৃষ্টান্ত দেখে শিক্ষা নেওয়া জরুরি।
এর সঙ্গে ব্যাঙ্ক এ-ও বলে রাখছে যে, ‘ফ্রড’ তথা অসাধু ব্যক্তিরা লগ্নিকারীর ডেটা চুরি করার চেষ্টা করে চলেছে ক্রমাগতই। কোনওভাবেই তাদের হাতে শিকার হবেন না–এই বার্তাই এই মুহূর্তে খুব প্রাসঙ্গিক। সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত নালিশ যেন উপযুক্ত পদ্ধতি মেনে করা হয়। এই ক্ষেত্রে cybercrime.gov.in কার্যকরী হবে। এছাড়াও হেল্পলাইন ১৯৩০ আছে গ্রাহকের সহায়তার জন্য। ব্যাঙ্ক কখনও ব্যক্তিগত তথ্য যেমন ওটিপি, পিন এবং পাসওয়ার্ড চায় না–এ-ও জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।