রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: জনস্বার্থ মামলার জেরে পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা। তবে সেই কারণে পুরভোটের প্রস্তুতিতে ঢিলেমি দিতে নারাজ বিজেপি। বরং জোরকদমে চলছে কাজ। বুধবারই হাওড়া ও কলকাতা পুরভোটের কমিটি ঘোষণা করল বিজেপি।
পুরভোটের কমিটিতে পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং, অনিন্দ্য বন্দ্যোপাধ্যায় ও জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। কলকাতা পুরসভার নির্বাচনের প্রচার কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদী। এছাড়াও প্রচার কমিটিতে থাকছেন তুষারকান্তি ঘোষ, রুদ্রনীল ঘোষ, বৈশালী ডালমিয়া-সহ অন্যান্যরা। অন্যদিকে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন পরিচালন কমিটির দায়িত্বে রথীন চক্রবর্তী। হাওড়া পুরসভার ক্ষেত্রে কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে মনিমোহন ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন: স্পিকারকে অসম্মান! ইডি ও সিবিআইয়ের দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস বিধানসভায়]
উল্লেখ্য, কলকাতা পুরনিগম-সহ রাজ্যের ১১২টি পুরসভায় ২০২০ সাল থেকে নির্বাচন বকেয়া পড়ে রয়েছে। করোনার জেরে ২০২০ সালে এই নির্বাচনগুলি হয়নি। বিধানসভা ভোট (Assembly Elections) এবং রাজ্যের ৭ কেন্দ্রের উপ নির্বাচন মিটতেই পুরভোট করাতে উদ্যোগী হয় রাজ্য সরকার। মোটামুটিভাবে ঠিক ছিল আগামী ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা (KMC) ও হাওড়ায় (৫০ আসনে) পুরভোট হবে। কিন্তু তা নিয়েও তৈরি হয়েছে জটিলতা।
কলকাতা ও হাওড়ায় ভোট ঘোষণার পরই বিজেপির তরফে প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় হাই কোর্টে দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা। বলা হয়েছিল, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে সব পুরসভাতেই নির্বাচন বকেয়া। তাহলে শুধু হাওড়া ও কলকাতায় নির্বাচন কেন? সেই মামলাটি ওঠে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। সেখানেই কমিশনের আইনজীবী জানান, যতদিন মামলার শুনানি চলবে, ততদিন পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করবে না রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ফলে ডিসেম্বেরর ১৯ তারিখ আদৌ ভোট হবে কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা।