shono
Advertisement

‌নৃশংস!‌ নিজের হাতেই চার সন্তানকে কুপিয়ে খুন করল বাবা, অল্পের জন্য রেহাই স্ত্রী ও মেয়ের

খুনের পর নিজেই জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে ফোন করে অভিযুক্ত।
Posted: 05:24 PM Dec 02, 2020Updated: 05:25 PM Dec 02, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নৃশংস ঘটনার সাক্ষী থাকল বিহার (Bihar)। বাবার হাতেই খুন হল চার সন্তান। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিন ছেলে এবং এক মেয়েকে কুপিয়ে খুন করল ‘‌মানসিক ভারসাম্যহীন’‌ এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত তার স্ত্রী এবং অপর এক মেয়েও। আর মর্মান্তিক ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।

Advertisement

জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার। বিহারের সিওয়ান (Siwan) জেলার বেলহা গ্রামে। অবদেশ চৌধুরি (‌Awdesh Chaudhry)‌ নামে অভিযুক্ত ব্যক্তি ঘটনার দিন সন্ধ্যেবেলা বাজার থেকে ফিরে এই কাণ্ড ঘটায়। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্ত্রী এবং সন্তানদের ধারালো ছুরি দিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় অভিষেক কুমার, মুকেশ কুমার, ভোলা কুমার এবং মেয়ে জ্যোতি কুমারের। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন স্ত্রী রীতা দেবী এবং আরেক মেয়ে অঞ্জলি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁরা আপাতত পাটনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

[আরও পড়ুন: গালওয়ানে লালফৌজের হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত, এবার চিনের মুখোশ খুলল আমেরিকা]

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তকে। কিন্তু জেরাতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি নাকি পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, সে মানসিক ভারসাম্যহীন। দীর্ঘদিন ধরেই ওষুধ খাচ্ছিল সে। তবে সম্প্রতি সেই ওষুধ খাওয়া নাকি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

জেরায় ৪০ বছর বয়সি ওই ব্যক্তি আরও জানায়, ‘‌‘‌ঘটনার সময় আমার কিছু মনে ছিল না। বাড়ির ফেরার সময় মনে হল, আমার শরীরে কিছু ঢুকেছে। সেটাই পরিবারকে মারতে আমাকে বাধ্য করেছে। হুঁশ আসার পর আমি বুঝতেই পারিনি যে আমিই ওঁদের খুন করেছি।’‌’ পুলিশ জানিয়েছে, এরপর নাকি ওই ব্যক্তি জেলাশাসক (District Magistrate) এবং পুলিশ সুপারকেও ফোন করার চেষ্টা করেন। তবে দুই আধিকারিকের কেউই ফোন তোলেননি। অভিযুক্তের ‌বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মাস্ক না পরলে অভিনব ‘শাস্তি’র নির্দেশ গুজরাট হাই কোর্টের, করতে হবে এই কাজগুলি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement