অভিরূপ দাস: ধোঁয়া ওঠা হাল্কা সোনারঙা বাসমতী। জায়ফল জয়িত্রীর গন্ধে ভুরভুর, তাতে প্রমাণ সাইজের একটা মাংস, হাল্কা পুড়ে যাওয়া একটুকরো আলু। মানে বিরায়ানি (Biriyani)। বিরিয়ানি পছন্দ করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। সেই প্রিয় বিরিয়ানি খেতেই এবার মধ্যবিত্তদের পকেটে পড়তে পারে চাপ!
হ্যাঁ, এই ইদে মূ্ল্যবৃদ্ধির এই মারকাটারি বাজারে পেট্রোল, ডিজেল, আনাজপাতির পথ ধরে দাম বাড়ছে বিরিয়ানিরও। যার মূল কারণ, জ্বালানির স্ফীতমূল্য। বাড়তি খরচের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কীভাবে ব্যবসা বহাল রাখা যায়, তা নিয়ে মে মাসের ২ তারিখ বৈঠকে বসছে পূর্ব ভারতের হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। সেখানে বিরিয়ানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হতে চলেছে। যতদূর ইঙ্গিত, বৃদ্ধির হার ৭% থেকে ১৫% পর্যন্ত হতে পারে। গত এক বছরে জ্বালানির দাম বেড়েছে হু হু করে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাঁচামালের দামও। বিরিয়ানির যে এলাচ বছর তিনেক আগেও ছিল চোদ্দোশো টাকা কেজি, তারই দাম বেড়ে গিয়েছে তিনগুণ। বাণিজ্যিক রান্নার সিলিন্ডারের দাম ছিল ১৫০০ টাকা। এখন তা আড়াই হাজার টাকা। পুরনো দামে বিরিয়ানি বিক্রি করতে গিয়ে তাই কালঘাম ছুটছে বিক্রেতাদের। সিরাজ রেস্টুরেন্ট ইতিমধ্যেই বিরিয়ানির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। খাদ্যরসিকরা বলছেন, যে সমস্ত দোকান এখনও বিরিয়ানির দাম বাড়ায়নি, তারা পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন। এক প্লেট খেয়েও পেট ভরছে না আর।
[আরও পড়ুন: ধাবায় সামার স্পেশ্যাল মেনু! মিলছে পান্তাভাতের থালি, কোথায় জানেন?]
পূর্ব ভারতের হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদেশ পোদ্দারের সাফ কথা, “বিরিয়ানির পুরনো দাম ভুলে যেতে হবে।” কলকাতার ছ’শো হোটেল রেস্তোরাঁ রয়েছে পূর্ব ভারতের হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের অধীনে। ধর্মতলার আমিনিয়া রেস্টুরেন্টের জনসংযোগের দায়িত্বে থাকা সুজয় দাস জানিয়েছেন, চিকেন মটন দুই বিরিয়ানিই এখন ২৪০ টাকা, তবে পুজোর আগে দাম বাড়াতেই হবে বিরিয়ানির। আরসালানের চিকেন আর মাটন বিরিয়ানির দাম এখন তিনশো টাকা। তবে কতদিন ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন? বুঝতে পারছেন না আরসালানের কর্ণধার মহম্মদ হামজা। সিরাল গোল্ডেন রেস্টুরেন্টের কর্ণধার আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, যে চিকেন বিরিয়ানি ২৮০ টাকা ছিল তা ৩০০ টাকা করা হয়েছে। ২৯০ টাকার মটন বিরিয়ানি এখন ৩২০।