সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাহুল সিনহার পর এবার গিরিরাজ সিং। বীরভূমে হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষ্যে হিন্দু জাগরণ মঞ্চের মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় এবার তীব্র নিন্দা করলেন বিজেপির এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বুধবার বিহারের পাটনায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন গিরিরাজ। তাঁর হুঁশিয়ারি, ক্ষমতা থাকলে মুসলিমদের মহরমের তাজিয়া আটকে দেখান নীতিশ-মমতা। হিন্দুদের মিছিলই শুধু আটকাতে পারবেন তাঁরা, মত সাংসদের।
তাঁর দাবি, লালু, নীতিশ হোক বা মমতা। সবারই ডিএনএ এক। দেশের দুর্ভাগ্য যে এই নেতাদের রাজনীতি মানেই তোষামোদের রাজনীতি। তাঁর অভিযোগ, বিহারে লালু-নীতিশ এবং পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুসলিম তোষনের রাজনীতি করছে। মমতার উদ্দেশে গিরিরাজ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, হনুমান জয়ন্তী ভারতে পালিত না হয়ে কি পাকিস্তান বা বাংলাদেশে পালিত হবে? তাঁর বক্তব্য, দেশের যেখানে যেখানে হিন্দুরা দূর্বল হয়েছে সেখানেই সামাজিক অবক্ষয় হয়েছে। কুলভূষণ ইস্যুতেও পাকিস্তানকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাঁর মতে, পাকিস্তানের এই সিদ্ধান্ত শাস্তি নয় বরং হত্যা করার নিদান। ভারত ইটের জবাব পাটকেল দিয়ে দিতে জানে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার বিজেপির জাতীয় সচিব রাহুল সিনহা কটাক্ষ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যদি পারেন তো মহরমে মুসলিমদের অস্ত্র ব্যবহার বন্ধ করে দেখান। তাঁর প্রশ্ন, মুসলিমরা যদি তাঁদের ঐতিহ্য বজায় রেখে তরোয়াল ব্যবহার করতে পারে, তাহলে একইভাবে হিন্দুরা তাঁদের ঐতিহ্য বজায় রাখতে পারবে না কেন?
এদিকে, নিয়ম অনুযায়ী ৯ ইঞ্চি বা তার বড় কোনও ছোরাজাতীয় অস্ত্র সঙ্গে রাখা বা প্রকাশ্যে প্রদর্শন করা বেআইনি। সেই হিসেবেই অস্ত্র আইনে মামলা রুজু হয়েছিল দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই অস্ত্র প্রসঙ্গেই রাহুল বলেন, গোটা রাজ্য জ্বলছে। বিজেপির উপর দোষ আরোপ না করে মুখ্যমন্ত্রীর উচিত আসল অস্ত্রের দিকে খোঁজ করা। তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্ত্রের ভাঁড়ার বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
The post ‘ক্ষমতা থাকলে মহরমের তাজিয়া আটকে দেখান নীতিশ-মমতা’ appeared first on Sangbad Pratidin.