সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন হাসপাতাল ঘুরে অবশেষে প্রেসিডেন্সি জেলে ঠাঁই হল কম্বলকাণ্ডে ধৃত জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari)। পরীক্ষা নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বিজেপি নেতার অবস্থা স্থিতিশীল। তাকে ভরতির প্রয়োজন নেই। তারপরই তাঁকে পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। জিতেন্দ্রর অভিযোগ, তাঁকে মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার। এদিন সকাল থেকে শরীর অসুস্থ ছিল জিতেন্দ্রর। দুপুরে ভাল করে খাবার খাননি তিনি। বিকেল থেকে বুকে ব্যথা শুরু হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষার পর সিসিইউতে ভরতি করা হয়। খবর পেয়েই হাসপাতালে ছুটে আসেন স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি ও মেয়ে পল্লবী তিওয়ারি। পরবর্তীতে জিতেন্দ্রর হৃদরোগের চিকিৎসার জন্য যে পরিকাঠামো দরকার, তা জেলা হাসপাতালে না থাকায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়।
[আরও পড়ুন: ‘ইডিকে কী জানিয়েছি বলব না, তবে আমি সুস্থই’, কয়লা কাণ্ডে তলব নিয়ে মন্তব্য মলয় ঘটকের]
সেখানেও পর্যাপ্ত চিকিৎসা মেলেনি বলেই অভিযোগ। পরবর্তীতে তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বর্ধমান থেকে জিতেন্দ্রকে কীভাবে কলকাতা আনা হবে তা নিয়ে প্রবল জটিলতা তৈরি হয়। কারণ, লাইফ সাপোর্ট অ্যাম্বুল্যান্স পাওয়া যাচ্ছিল না বলেই খবর। প্রায় ৪ ঘণ্টা টানাপোড়েনের পর মেলে অ্যাম্বুল্যান্স। গভীর রাতে কলকাতায় পৌঁছন জিতেন্দ্র। এসএসকেএমে বিজেপি নেতার ইউএসজি করানো হয়। প্রাথমিক পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, ভরতির প্রয়োজন নেই। ফলত জিতেন্দ্রকে পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। প্রসঙ্গত, হাসপাতালে আনা নিয়ে জটিলতার মাঝে পুলিশকে একহাত নেন জিতেন্দ্র। ‘তৃণমূলের চামচা’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি।