সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদেশের মাটিতে দেশকে অপমান করেছেন রাহুল গান্ধী। এমন অভিযোগ তুলে লোকসভা থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছিলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সেই প্রসঙ্গে রাহুলের পাশে দাঁড়িয়ে শনিবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর পালটা অভিযোগ, নিশিকান্তের পিএইডি এবং এমবিএ ডিগ্রি জাল! আর এরপরই রীতিমতো অশালীন ভাষায় মহুয়াকে আক্রমণ করেন দুবে। যা নিয়ে তৈরি হয়েছে তীব্র বিতর্ক।
ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা থেকে নির্বাচিত নিশিকান্তের ডিগ্রি প্রসঙ্গে একাধিক টুইট করেন মহুয়া। লেখেন, ‘‘মাননীয় সদস্য ২০০৯ ও ২০১৪ লোকসভা ভোটের হলফনামায় নিজেকে ‘দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের আংশিক সময়ের এমবিএ’ বলে উল্লেখ করেছেন। অথচ একটি প্রশ্নের জবাবে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় লিখিত ভাবে জানিয়েছে, মাননীয় সদস্যের (নিশিকান্ত) নামে কেউ ১৯৯৩ সাল থেকে সেখানে এমবিএ পাঠক্রমে ভরতি হননি বা ডিগ্রি পাননি।” এরপর যোগ করেন, “২০১৯ লোকসভা ভোটের হলফনামায় মাননীয় সদস্য এমবিএর কোনও উল্লেখই করেননি! শুধু জানিয়েছেন, তিনি ২০১৮ সালে রাজস্থানের রানা প্রতাপ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করেছিলেন। কিন্তু বৈধ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি ছাড়া ইউজিসি স্বীকৃত কোনও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা যায় না।’’
[আরও পড়ুন: ‘ক্রমশ প্রকাশ্য’, সৌমিত্রর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের মাঝে নতুন সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সুজাতা]
মহুয়ার গলায় গলা মিলিয়ে কংগ্রেস বিধায়ক দীপিকা সিংও নিশিকান্তকে ‘ফরজিকান্ত দুবে’ বলে কটাক্ষ করেন। যার পালটা দীপিকা সিংকে টুইটারে ব্লক করে দেন দুবে। তবে পালটা মহুয়া ও দীপিকাকে কটাক্ষ করতে গিয়ে তাঁদের ‘নগরবধূ’ বলে আক্রমণ করেন। এতেই বিতর্ক উসকে যায়। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে আসরে নামেন কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে। তিনি জাতীয় মহিলা কমিশন এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিকে গোটা বিষয়টি নিয়ে ধিক্কার জানানোর আহ্বান জানান। ইতিমধ্যেই জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল নিশিকান্তের নিঃশর্ত ক্ষমার দাবি জানিয়েছেন। তবে এতেও এখনও পর্যন্ত টনক নড়েনি নিশিকান্তের। তিনি এ নিয়ে এখনও ক্ষমা চাননি।
তবে তৃণমূল যেভাবে সর্বভারতীয় স্তরে কংগ্রেসকে ছাড়া একাই লড়াইয়ের কথা ভাবছে, সেখানে রাহুলের হয়ে মহুয়ার সুর চড়ানোর বিষয়টি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।