সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গোয়ার ‘বার্চ বাই রোমিও লেন’ নৈশক্লাবের জমির মালিকের বিরুদ্ধেও এ বার ব্লু কর্নার নোটিস জারি করবে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডে ২৫ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর ঠিক পরেই ব্রিটেনে পালিয়ে গিয়েছিলেন সুরিন্দর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ব্লু কর্নার নোটিস জারি করা হচ্ছে।
সুরিন্দর ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। গত ৬ ডিসেম্বর নৈশক্লাবে অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি গোয়াতেই ছিলেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে সিবিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনার পর দিন অর্থাৎ ৭ ডিসেম্বর দেশ ছেড়ে চলে যান সুরিন্দর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সমনও জারি করে পুলিশ। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি। এর পরেই পুলিশ সিবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তার ভিত্তিতেই নৈশক্লাবের মালিক সৌরভ লুথরা এবং গৌরব লুথরার মতো সুরিন্দরকেও ভারতে ফিরিয়ে আনার প্রস্তুতি শুরু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নৈশক্লাবের জমিটি লিজে পেয়েছিলেন সুরিন্দর। কিন্তু জমির আসল মালিক প্রদীপ আমোনকার। এই জমি নিয়ে তাঁর সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরেই সুরিন্দরের আইনি বিবাদ চলছিল। তার পরেও কী ভাবে ওই জমিতে নৈশক্লাব বানানোর অনুমতি দিয়েছিলেন তিনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। গোটা ঘটনায় নৈশক্লাবের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নৈশক্লাব তৈরির সময় সুরিন্দর তা আদৌ খতিয়ে দেখেছিলেন কি না, সে ব্যাপারে কথা বলতেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবা করতে চাইছিলেন পুলিশের তদন্তকারীরা।
অগ্নিকাণ্ডে এখনও পর্যন্ত আটজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন লুথরা ভাইয়েরাও। ঘটনার পর তাঁরাও থাইল্যান্ডে পালিয়ে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতিই তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। বর্তমানে তাঁরা গোয়া পুলিশের হেফাজতে।
