সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তা বলয়ে মোড়া দিল্লিতে বিজেপির সদর দপ্তর। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার বলয়ে গাড়ি নিয়ে ঢুকছেন তিনি। দু’দিকে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে তাঁর দলীয় সহকর্মীরা। গাড়ি দপ্তরের কাছে পৌঁছতেই গাদা ফুলের বৃষ্টি। আর সেই বৃষ্টিতে ঢাকা পড়ে গেল প্রধানমন্ত্রীর বুলেটপ্রুফ অত্যাধুনিক গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে সেই আবেগের ‘বৃষ্টিস্নাত’ হলেন খোদ নরেন্দ্র মোদিও । হাত তুলে সকলকে অভিবাদন জানালেন। তারপর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে নিয়ে ধীর পায়ে এগিয়ে গেলেন দপ্তরের অন্দরের দিকে। দৃশ্যটা দেখে মনে হতেই পারে, কোনও সুপারস্টারকে অভ্যর্থনা জানাতে সেজে উঠেছে তাঁর রাজ্যপাট।
মাত্র দিন তিনেক আগে শেষ হয়েছে জি-২০ সম্মেলন। এবার ভারতের সভাপতিত্ব যা ‘মানুষের সম্মেলনে’র চেহারা নিয়েছিল। তিনদিন ধরে যার সমাপ্তি অনুষ্ঠান হয়েছে দিল্লিতে। সফলভাবে সেই রাজকীয় যজ্ঞ শেষ করে বুধবার রাত ৮টা নাগাদ দিল্লির বিজেপি সদর দপ্তকে পা রেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি আসার আগেই বিজেপির সংসদীয় কমিটি সংকল্পপত্র পাস করে। যার নির্যাস, আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজনের ঐতিহাসিক সাফল্যের অন্য়তম কারিগর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাফল্য়ের নেপথ্যের অন্যতম কারিগর তিনি আরও তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা। মোদির সেই ভূমিকাকেই এদিন কুর্নিশ জানাল বিজেপির নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: G-20 সম্মেলন ভারতের সাফল্য, বিজেপি সদর দপ্তরে মোদিকে সংবর্ধনা, ভাসলেন পুষ্পবৃষ্টিতে]
এদিন পুষ্পবৃষ্টিতে ভেসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে পুষ্পস্তবক। সামনেই মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তিশগড়ের নির্বাচন। ভোটের প্রার্থী তালিকা এবং কৌশল ঠিক করতেই এদিন বৈঠকে বসেছে বিজেপি নেতৃত্ব। রয়েছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং. জে জি নাড্ডা ছাড়ার রাজ্য নেতৃত্ব।