shono
Advertisement

সম্পত্তি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জের! দুর্গাপুরের দুই সন্তান-সহ দম্পতির রহস্যমৃত্যু

মৃত্যুর আগে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে আত্মীয়দের দুষেছিলেন মৃত দম্পতি।
Posted: 08:44 AM Mar 19, 2023Updated: 10:40 AM Mar 19, 2023

সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, দুর্গাপুর: বন্ধঘরে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য় ছড়াল দুর্গাপুরে (Durgapur)। রবিবার সকালে নিজেদের ঘর থেকে দুই সন্তান-সহ এক দম্পতির দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃত্যুর আগে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে আত্মীয়দের দুষেছিলেন ওই দম্পতি। যা দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরেই সন্তানদের খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই দম্পতি। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে গিয়েছে। তবে এখনও দেহ উদ্ধার করতে পারেনি। এলাকাবাসীরা মৃতদেহ উদ্ধার করতে পুলিশকে বাধা দেয়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ , অমিত মণ্ডস ও তাঁর পরিবারকে খুন করা হয়েছে। 

Advertisement

দুর্গাপুরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কুরুড়িয়া ডাঙার মিলনপল্লি এলাকার বাসিন্দা অমিত মণ্ডল (৩৭)। যৌথ পরিবারেই স্ত্রী রূপা মণ্ডল ও দুই সন্তান- নিমিত মণ্ডল (৭) ও নিকিতা মণ্ডল (১৪ মাস)-কে নিয়ে থাকতেন। রূপা পেশায় সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। এদিন সকালে ঘর থেকে চারজনের নিথর দেহ উদ্ধার হয়। মেঝেয় অমিতের স্ত্রী ও তাঁর দুই সন্তানের দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ। সিলিং থেকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় অমিতের দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে ওই পরিবার। 

[আরও পড়ুন: গ্রেপ্তার হননি, এখনও পলাতক অমৃতপাল! পাঞ্জাব জুড়ে জারি হাই অ্যালার্ট]

মৃত রূপা মণ্ডলের পরিবারের অভিযোগ, এটি আত্মহত্যা নয়, খুনের ঘটনা। পরিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছিল অমিত ও রূপাকে। বাড়ির মধ্যে থাকা সিসিটিভি বন্ধ ও রাতে স্ট্রিট লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল বলেই অভিযোগ করা হচ্ছে। অভিযোগের তির অমিতের মা ও মামার বাড়ির সদস্যদের দিকে। মৃত্য়ুর আগে অমিতের করা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঘিরে বাড়ছে রহস্য। 

পরিবারের দাবি, ওই মেসেজে নিজেদের মৃত্যুর জন্য মামাতো ভাই-বোনেদের দায়ী করেছেন অমিত। তাঁর মামাতো ভাই-বোনেরা ২০১২ সালে টাকার বিনিময়ে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ না দিয়ে স্কুলের চাকরি পেয়েছিলেন। ওই মেসেজে তাঁদের নাম উল্লেখ, স্কুলের নাম উল্লেখ করে সিবিআই তদন্তের দাবি করে গিয়েছেন অমিত। পরিবারের অন্য়ান্য সদস্যদের অভিযোগ, অমিতের মা ছিলেন মামার বাড়ি ঘেঁষা। ছেলে-বই-নাতি-নাতনির তুলনায় বাপের বাড়ির সদস্যদের তাঁর টান ছিল বেশি। সেই সূত্রকে কাজে লাগিয়ে অমিতদের সমস্ত সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিল তারা। এই বিবাদের জেরেই এই মৃত্যু? খতিয়ে দেখবে আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। 

[আরও পড়ুন: দিদি কি মুখ বন্ধ রাখতে বলেছেন? প্রশ্নের মুখে কবিতা আওড়ালেন ফিরহাদ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup অলিম্পিক`২৪ toolbarvideo শোনো toolbarshorts রোববার