আকাশ মিশ্র: ভূতের ছবি বাংলায় হয়তো অনেক তৈরি হয়েছে, কিন্তু ভয়ের ছবি সত্যিই কি তৈরি হয় টলিউডে? প্রশ্নটা বেশ জটিল। ভাবছেন হয়তো, ভূত এবং ভয়ের ছবির পার্থক্য কোথায়। ব্যাপারটা একটু অন্যভাবে বলা যাক, এতদিন বাংলায় বেশ কয়েকটি ভূতের ছবি তৈরি হয়েছে। যে ছবির দাবি ছিল, ভয় দেখানো। কিন্তু বিশ্বাস করুন একটিও ভয় দেখাতে সমর্থ নয়। ঠিক যেমন, কয়েকমাস আগে মুক্তি পাওয়া ছবি ‘ভয় পেও না’। শ্রাবন্তী, ওম অভিনীত এই ছবি দেখলে ভয় কম, হাসি পাবেই বেশি। না, আর কথা বাড়িয়ে কাজ নেই। বরং বিষয়ে আসা যাক। উপরের এত সব লেখার কারণ একটাই নতুন বাংলা ছবি ‘জতুগৃহ’ (Jatugriha)। পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু। ঘরানায় ফেলতে হলে এই ছবি একেবারেই ভূতের ছবি। সবচেয়ে বড় ব্যাপার এটা ভয়ের ছবিও বটে।
ছবিটা ভাল হয়েছে না খারাপ, তা বলার আগে গল্পটা একটু ছুঁয়ে নেওয়া যাক। এই ছবিতে বনি সেনগুপ্ত (Bonny Sengupta) এক হোটেল ম্যানেজারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন যে কিনা চাকরি পেয়ে একটি ছোট্ট গ্রামে রওনা দেয়। সেখানেই আলাপ হয় পিয়ালি চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। এক দেখাতেই পিয়ালিকে ভালবেসে ফেলেন বনি। কিন্তু বনি বুঝতে পারে পিয়ালির বাড়িতে অদ্ভুত কিছু কাণ্ডকারখানা চলছে। যা কিনা গা ছমছমে। এর মধ্যেই ঢুকে পরে গ্রামের পাদরি পরমব্রত চট্টোপাধ্য়ায় ও পায়েল সরকার। কী ঘটছে এই ছোট্ট গ্রামে? এই রহস্য নিয়েই এগোতে থাকে ‘জতুগৃহ’র গল্প।
[আরও পড়ুন: ভক্তির বিড়ম্বনা! গল্পের গরু গাছে তুলে খেই হারালেন অক্ষয়, পড়ুন ‘রাম সেতু’র রিভিউ]
গল্পের দিক থেকে দেখতে গেলে ‘জতুগৃহ’র মধ্যে নতুনত্ব রয়েছে। বিশেষ করে, পরিচালক সপ্তাশ্ব বসু যেভাবে গল্প বলেছেন তা সত্য়িই ছবিতে গা ছমছমে ভাব ধরে রাখে। এমনকী, ছবির বেশ কিছু জায়গাতে ভয়ও লাগবে। কিন্তু এই ছবির সমস্য়া হল, শুরুটা সঠিক হলেও ছবি এগোতেই চিত্রনাট্যর টান টান ভাবটা চলে যায়। ফলে জতুগৃহ প্রথমে যে আশা তৈরি করেছিল, তা শেষমেশ ধরে রাখতে পারে না।
অভিনয়ের দিক থেকে সবাই বেশ ভাল। বিশেষ করে বনি সেনগুপ্ত এই ছবিতে বেশ পরিণত। পরমও বেশ ভাল। পায়েল ও পিয়ালি যথাযথ। সব মিলিয়ে এই ছবি দেখতে খারাপ লাগবে না। কিন্তু ভয়ের ছবি হিসেবে খুব একটা ছাপ ফেলতে পারে না ‘জতুগৃহ’।