সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শরিফ পরিবারের বিরুদ্ধে কার্যত ‘উইচ হান্টিং’ চলছে পাকিস্তানে। ক্ষমতা ধরে রাখতে সেনার হাতের পুতুল ইমরান খানই (Imran Khan) যে সমস্ত কলকাঠি নাড়ছেন তা অজানা নয়। এবার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের কন্যা মরিয়ম নওয়াজ শরিফ অভিযোগ করেছেন, জেলে তিনি যে ঘরে ছিলেন এবং যে বাথরুম ব্যবহার করতেন সেখানে ক্যামেরা লাগানো ছিল।
[আরও পড়ুন: হোয়াইট হাউসে ফিরছেন না ট্রাম্প! প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বিডেনকে অভিনন্দন চিনের]
এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ)-এর (PML-N)ভাইস প্রেসিডেন্ট মরিয়ম বলেন, “আমাকে দু’বার জেলে যেতে হয়েছে। আমি মহিলা হওয়া সত্বেও আমার সঙ্গে কারাগারে যে আচরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে যদি বলা শুরু করি তা হলে ওঁরা মুখ দেখাতে পারবেন না।” উলেখ্য, আর্থিক তছরুপের একটি মামলা গত বছর জেল খাটতে হয়েছিল মরিয়মকে। ইমরান খান প্রশাসনের বিরুদ্ধে তোপ দেগে নওয়াজ কন্যা বলেন, “যে ভাবে আমার সঙ্গে আচরণ করা হয়েছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে পাকিস্তানে মহিলারা কতটা সুরক্ষিত। ভাববেন না মেয়েরা দুর্বল, তা সে পাকিস্তান হোক বা বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত।” মরিয়মের আরও অভিযোগ, পাক প্রশাসন যদি তাঁর ঘরে জোর করে ঢুকে বাবার সামনেই গ্রেপ্তার করতে পারে, তা হলে তারা আরও অনেক কিছু করতে পারে।
উল্লেখ্য, গত আগস্টেই নওয়াজ শরিফকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করেছিল পাকিস্তান (Pakistan)। চিকিৎসার জন্য বিদেশ গিয়ে নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও দেশে না ফেরায় তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করা হয়। তাঁকে দেশে ফেরানোর জন্য ব্রিটেনের কাছে আবেদনও করা হয়েছে। তারপরই অক্টোবরে বিরোধীদের সভায় আক্রমণাত্মক মেজাজে দেখা যায় নওয়াজকে। ৭০ বছরের নওয়াজ শরিফ দেশের রাজনীতিতে সেনার জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন। পাশাপাশি দেশের সেনাবাহিনী ও আইএসআই নেতৃত্ব— সবেতেই পরিবর্তনের ডাক দিয়েছেন তিনি।