অর্ণব গোস্বামী-কুণাল কামরা প্লেন-বিতর্ক এখনও টাটকা। ঘটনা হল, প্লেনে সেলিব্রিটিদের সামনে পেয়ে অনেকে নানা প্রশ্ন করেন। আসে সেলফির আবদার। ফ্লাইটে সবচেয়ে স্মরণীয় অভিজ্ঞতা কী?
ওয়াশরুমে গেলেও শুনি সেলফি তুলব?
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়
বেশির ভাগ যেটা হয়, লোকে বলে স্যর একটু কথা বলতে চাই। ধরুন মুম্বই যাচ্ছি। কেউ এসে জিজ্ঞেস করল, কোথায় যাচ্ছেন? তখন একটু বিরক্ত লাগে। মনে হয়, আরে বাবা প্লেনটা তো মুম্বই-ই যাচ্ছে। তো মুম্বই ছাড়া কোথায় যেতে পারি? তারপর ধরুন কেউ জিজ্ঞেস করল, মুম্বই যাচ্ছেন কি শুটিং করতে? মুড খারাপ থাকলে বলে দিই, না ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছি। আর এখন তো সেলফির আবদার লেগেই রয়েছে। ওয়াশরুমে গেলেও শুনতে হয়, দাদা একটা সেলফি তুলব? সেলফি তোলার সঙ্গে সঙ্গে আবার সেটা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট হয়ে যায়।
তবে ভাল দিকও আছে। ফ্লাইটের ক্রু বেশির ভাগ সময় আমাকে দেখে এক্সাইটেড হয়ে যায়। একটু বাড়তি খাতির পাই। সেটা মন্দ লাগে না! তা ছাড়া ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাইটে অনেক প্রবাসী আমার সিনেমা নিয়ে আলোচনা করেন। শুনতে ভাল লাগে।
তারকা হওয়ার দাম তো চোকাতেই হবে
বাইচুং ভুটিয়া
কারণ আমার মনে হয় সেলিব্রিটি যখন হয়েছি, তার কিছু দাম তো চোকাতেই হবে। তারকা জীবনের এই সাইড এফেক্টগুলোও মেনে নিতে হবে। ইউ কান্ট হেল্প ইট!
হাতে সময় থাকলে আমি ফ্যানদের সঙ্গে সেলফি তুলি, টুকটাক কথা বলি। কিন্তু ধরুন ফ্লাইটের জন্য দেরি হয়ে গিয়েছে, বা প্লেনে জরুরি কোনও কাজ সারতে হবে, তখন যতটা পারি ভদ্রভাবে বলি, প্লিজ লিভ মি অ্যালোন।
উনি বললেন, আপনাকে ঠিক ইমন চক্রবর্তীর মতো দেখতে,
ইমন চক্রবর্তী
মুড খারাপ থাকলেও আমি সেলফির আবদার ফেরাই না। কখনও কেউ অসভ্যতা করলে অন্য ব্যাপার। যদিও ফ্লাইটে আমার সঙ্গে এরকম কখনও হয়নি। একবার কী হয়েছিল, প্লেনে আমার পাশে বসা ভদ্রলোক বলেছিলেন, “আপনাকে না একেবারে ইমন চক্রবর্তীর মতো দেখতে।” আমি তখন বলেছিলাম, তাই না? লোকজন আমাকে এই এক কথা যে কতবার বলে!
ঘুম থেকে তুলে বলে সেলফি চাই
মিমি চক্রবর্তী
ফ্লাইটে ফ্যানদের আবদার লেগেই থাকে। আসলে ওরা তো আমাদের সব সময় পায় না। তাই হঠাৎ করে হাতের কাছে পেলে এক্সাইটেড হয়ে যায়। এমনও হয়েছে যে ফ্লাইটে ঘুমোচ্ছি, কোনও ফ্যান আমাকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে বলেছে, ম্যাম একটা সেলফি তুলব?
আমি এতে বিরক্ত হই না। কারণ আমরা যে পপুলারিটি পেয়েছে, তা ফ্যানদের জন্যই। ভক্তরা না থাকলে আমি বা আমরা আজ এই জায়গায় পৌঁছতে পারতাম না। তা ছাড়া আমাকে দেখে যদি চারটে লোক সেলফির আবদার না করে, তাহলেই বরং আমার খারাপ লাগবে। মনে হবে, তাহলে দশ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে থেকে আমি কী করলাম?
ভোরের ফ্লাইটে বা লম্বা প্লেন জার্নিতে হয়তো অত মেক-আপ করা নেই। তবু আমি সেলফির রিকোয়েস্ট ফেরাই না। আই ডোন্ট কেয়ার, বিকজ আই অলওয়েজ লুক গুড!
ফ্লাইটে স্পেশ্যাল ডেজার্ট পেয়েছিলাম
আবির চট্টোপাধ্যায়
আমার ভক্তরা চট করে সেলফির আবদার করেন না। একজন আড় ভেঙে এগোলে হয়তো তাঁকে দেখে কয়েকজন এলেন। হয়তো তাঁদের মনে হয় এসব বললে আমি মনক্ষুণ্ণ হব। সেটা কিন্তু একেবারেই না!
একবার বেশ মজা হয়েছিল। একটা ফ্লাইটে একজন বাঙালি অ্যাটেন্ডেন্ট, বাকি সবাই অবাঙালি। আবিষ্কার করলাম বাঙালি না হয়েও তাঁরা আমার ফিল্ম দেখেন। ইন ফ্যাক্ট বাঙালি মহিলাটিই সবার শেষে এসে বলেছিলেন, “আমি আপনাকে বিরক্ত করতে চাইনি কিন্তু দেখলাম ওরা আপনাকে অ্যাপ্রোচ করছে, তাই আমিও চলে এলাম।” সেবার সেই অ্যাটেন্ডেন্টদের সৌজন্যে একটা স্পেশ্যাল ডেজার্ট পেয়েছিলাম!
The post বিমানে মেটাতে হয় অনুরাগীদের আবদার? অর্ণব-কুণাল বিতর্কের পর মুখ খুললেন সেলেবরা appeared first on Sangbad Pratidin.