সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা পরীক্ষা (Covid Testing) কম হচ্ছে, উদ্বেগ প্রকাশ করে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি দিল কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। চিঠিতে কোভিড পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, বেশি করে পরীক্ষা করার কারণই হল যাতে করে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfar) অতিরিক্ত সচিব আরতি আহুজা (Arti Ahuja) প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসনকে এই চিঠি দিয়েছেন। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, করোনা রুখতে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার কোভিড পরীক্ষা। যদিও আইসিএমআরের (ICMR) যে তথ্য সামনে আসছে তাতে দেখা যাচ্ছে পরীক্ষার পরিমাণ ক্রমশ কমছে। যদিও পরীক্ষার মাধ্যমে কোনও ব্যক্তি পজিটিভ জানা গেলে সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা ও একান্তবাসের ব্যবস্থা দ্রুত করা সম্ভব।
এছাড়াও নতুন করে একাধিক নির্দেশিকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। তার মধ্যে রয়েছে ‘হটস্পট’ এলাকা চিহ্নিত করা। কনট্যাক্ট ট্রেসিং, প্রয়োজনে করোনা আক্রান্তদের নিভৃতবাসের যথাযথ ব্যবস্থা করা। কোথাও সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত (ক্লাস্টার) চিহ্নিত হলে নজরদারি বাড়ানো। প্রয়োজনে ‘গণ্ডিবদ্ধ এলাকা’ তৈরির পথে হাঁটা ইত্যাদি।
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে ভারতে লকডাউনের প্রয়োজন নেই, কেন বলছে WHO?]
কোভিড-১৯ রোগীদের মৃত্য কমাতেও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছে কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড, অক্সিজেন ও অন্যান্য স্বাস্থ্য পরিষেবা মজুত রাখার কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজ্যের কোভিড পরীক্ষা বেড়েছে। পরীক্ষা বাড়তেই সংক্রমণের গণ্ডি ১০ হাজার ছাড়িয়েছে। সামান্য বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১০ হাজার ৪৩০ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। তব এই সময়ের মধ্যে সেরে উঠেছেন ১৩ হাজার ৩০৮ জন।
[আরও পড়ুন: টিকাকরণে জোর দেওয়ার সুফল? দেশে ফের নিম্নমুখী করোনা গ্রাফ, কমল পজিটিভিটি রেটও]
এদিকে এদিনই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে বিধিনিষেধ মেনে চললে করোনা রুখতে ভারতে লকডাউনের প্রয়োজন পড়বে না। হু-র ভারতের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান জানিয়েছেন, সরকার ও সাধারণ মানুষ যদি কোভিড নির্দেশিকা মেনে চলে তবে লকডাউনের প্রয়োজন পড়বে না ভারতে। সেক্ষেত্রে ভ্যাকসিনেশন, মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ব মানা, ঘরের পরিবেশ খোলামেলা রাখা ইত্যাদির উপর বিশেষ ভাবে জোর দিতে হবে।