সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপনি কি পাহাড় ভালবাসেন? কিন্তু পাহাড় মানেই দার্জিলিংয়ের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়া কি না পসন্দ? রোজকার অফিস আর বাড়ির চাপে আপনার মন ভারাক্রান্ত হয়ে গিয়েছে? চট করে চার-পাঁচদিনের ছুটিতে চটকপুর থেকে ঘুরে আসুন৷ পাইন গাছে ঘেরা জঙ্গল, পাহাড়, পাখির কলকাকলিতে ভরা এই জায়গা আপনার মন ভাল করে দিতে বাধ্য৷
[মনের ক্লান্তি মেটাতে স্বল্প খরচে সপ্তাহান্তে ঘুরে আসুন বিহারীনাথ]
দার্জিলিংয়ের খুব কাছের ছোট্ট একটি গ্রাম চটকপুর৷ যতদূর চোখ যায় এই গ্রামে দেখতে পাবেন সারি সারি পাইন গাছ৷ স্নিগ্ধ বাতাস আর পাখির কলরবে মনোরম পরিবেশ৷ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যকে হাতেকলমে উপভোগ করতে হলে চটকপুরের বিকল্প হতে পারে না। দার্জিলিং থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার এবং সোনাদা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই গ্রাম৷ ঘুম, সোনাদা হয়ে যেতে হয় চটকপুরে। সমস্যা একটাই, চটকপুর যাওয়ার রাস্তা মোটেই সুখকর নয়, বেশ কাঠখড় পুড়িয়েই পৌঁছাতে হয় এই গ্রামে। কিন্তু তাতে কী? খারাপ রাস্তা পেরিয়ে আপনি পাহাড়ের কোলের এই ছোট্ট গ্রামটিতে পৌঁছালে, আপনি রাস্তা খারাপের বিরক্তি ভুলে যেতে বাধ্য। জঙ্গল, পাখি, প্রকৃতি অনুভব করতে চাইলে বেরিয়ে আসুন চটকপুরে।আর পাঁচটা তথাকথিত পর্যটনকেন্দ্রের মতো সুসজ্জিত নয় এই গ্রাম। তবে, কালাপোখড়ি, লাভার্স পয়েন্ট এবং সানরাইজ পয়েন্টের মতো জায়গাগুলি আপনার রোজকার একঘেয়েমি কাটিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।তবে, সবই পায়ে হেঁটে যেতে হবে আপনাকে। কালাপোখড়ি হল ছোট একটা জলাশয়ের মধ্যে বড় একটা পাথর। পুজো করা হয় ওই পাথরটিকে। জঙ্গলের প্রাণীরা এখানে জল খেতে আসে। তাই পশু দেখার জন্য কালাপোখড়ি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। জঙ্গলের ভিতর দিয়ে অল্প হেঁটে আপনি পৌঁছে যেতে পারেন লাভার্স পয়েন্ট এবং সানরাইজ পয়েন্টে৷ তবে, চটকপুরের আসল মজা ভোরবেলা এবং সন্ধ্যার দিকে। পাইনের জঙ্গলের নীরবতার মধ্যে পাখির কলতান আপনার মন ভরিয়ে দেবে । ভাগ্যদেবতা সুপ্রসন্ন হলে অনেক অচেনা পাখিরও দেখা মিলতে পারে৷ চট করে লেন্সবন্দি করে নিন সেইসব অচেনা অতিথিদের।
[হাতে অল্পদিনের ছুটি? শহরের অদূরে এই ৮ জায়গা হতে পারে আপনার গন্তব্য]
কীভাবে যাবেন:
দার্জিলিং থেকে ২৫ কিলোমিটার এবং সোনাদা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত চটকপুর। দার্জিলিং থেকে ঘুম, সোনাদা হয়ে আপনি পৌঁছাতে পারেন এই জায়গায়৷ বড় গাড়ি ভাড়া করলে আপনার খরচ পড়তে পারে সাকুল্যে ১৫০০ টাকা৷
[সোনাজঙ্ঘার টানে শীতের রাতে জঙ্গল ভ্রমণ, ডাকছে বেথুয়াডহরি অভয়ারণ্য]
কোথায় থাকবেন:
চটকপুর ইকো ভিলেজে অনেকগুলো হোম স্টে রয়েছে। তার মধ্যে ধনমায়া নিবাস হোম স্টে বেশ বিখ্যাত৷ অনলাইনেই এই হোম স্টে বুকও করতে পারবেন আপনি৷
The post হাতে অল্পদিনের ছুটি? ক্লান্তি মেটাতে চট করে ঘুরে আসুন চটকপুর appeared first on Sangbad Pratidin.