চলতি মাসের শেষেই দোল উৎসব। স্বাভাবিকভাবেই করোনা পরিস্থিতিতে সর্তক হয়েই রঙের উৎসবে মাতবেন আমবাঙালি। এছাড়াও মার্চে একাধির ব্রত ও উৎসব রয়েছে। জেনে নিন কী কী।
২ মার্চ: প্রতি মাসের চতুর্থ তিথি পালিত হয় সঙ্কষ্টী চতুর্থী হিসেবে। মার্চের ২ তারিখ এই ব্রত পালন করা হবে। এই দিনে পুজিত হবেন গণেশ।
৬ মার্চ: কথিত রয়েছে ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে সীতার আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল। সেই কারণে ওই দিন পালিত হয় জানকী জয়ন্তী হিসেবে।
৮ মার্চ: ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের দশমী তিথিতে পালন করা হয় আর্য সমাজের প্রতিষ্ঠাতা মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্ম জয়ন্তী।
৯ মার্চ: ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিকে বলা হয় ‘বিজয়া একাদশী’। কথিত রয়েছে, এই একাদশী ব্রত পালন করলে যে কোনও কাজে সাফল্য আসে।
১০ মার্চ: প্রতি মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে মহাদেবের উদ্দেশ্যে পুজো অর্চনার রীতি রয়েছে হিন্দু ধর্মে। গোটা দিন উপবাসের পর সন্ধেয় মহাদেবের পুজো করে তাঁর প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভঙ্গ করেন ভক্তরা। সন্ধে অর্থাৎ প্রদোষকালে এই উপবাস ভঙ্গকে বলা হয় প্রদোষ ব্রত। চলতি মাসের ১০ তারিখ পালিত হবে এই ব্রত।
১১ মার্চ: হিন্দু ধর্মে শিবরাত্রির গুরুত্ব অনেক। মন্দির ছাড়া বাড়িতেও অনেকেই শিবরাত্রি উদযাপন করেন। মার্চের ১১ তারিখ পালিত হবে শিবরাত্রি।
১৭ মার্চ: প্রতি মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্থী তিথিতে বিনায়ক চতুর্থী পালিত হয়। এই দিনে গণেশের উপাসনা করলে সমস্ত মন বাসনা পূরণ হয় বলেই প্রচলিত রয়েছে।
[আরও পড়ুন: ভাঙড়ে ISF কর্মীর বাড়ি থেকে উদ্ধার বোমা-আগ্নেয়াস্ত্র, গ্রেপ্তার ৪]
২৫ মার্চ: বৈদিক পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর ফাল্গুন শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি আমলকি একাদশী হিসেবে পালিত হয়। এই দিনে আমলকি গাছের সঙ্গে ভগবান বিষ্ণুকে পুজো করা হয়৷ এই উৎসবে ভগবান শিবকে রং লাগিয়ে হোলির প্রস্তুতি শুরু করা হয়।
২৮ মার্চ: চলতি বছর ২৮ মার্চ দোলপূর্ণিমা। এইদিনটি বসন্ত উৎসব হিসেবে পালিত হয়। রঙে সেজে ওঠেন প্রত্যেকে। প্রচলিত রয়েছে, এই দিন বাড়িতে পুজোর আয়োজন করলে তা সৌভাগ্য বয়ে আনে।
২৯ মার্চ: দোলপূর্ণিমার পরের দিন উদযাপিত হয় হোলি। এই উৎসবের নেপথ্যে রয়েছেন শ্রীকৃষ্ণ ও প্রহল্লাদ। মূলত অবাঙালিরাই মেতে ওঠেন হোলিতে।