সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘে ফের বাধা হয়ে দাঁড়াল চিন। ভেস্তে গেল কুখ্যাত জঙ্গি আবদুল রহমান মক্কিকে নিষিদ্ধ করার ভারত ও আমেরিকার যৌথ প্রয়াস। উল্লেখ্য, পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তইবার প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে।
মুম্বই হামলার অন্যতম ষড়যন্ত্রী হাফিজ সইদের সঙ্গে জেহাদি কাজে যুক্ত রয়েছে মক্কি। কাশ্মীর উপত্যকায় পাক জঙ্গিদের অনুপ্রবেশ ও অস্ত্র পাচারে জড়িত রয়েছে সে। পাকিস্তানে (Pakistan) আল কায়দার ‘স্লিপার সেল’গুলির সঙ্গে যোগাযোগ রাখে মক্কি। সবমিলিয়ে তাকে বাগে আনতে পারলেই অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়বে লস্কর। আর সে জন্যই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ‘আইএস অ্যান্ড আল কায়দা স্যাংশনস কমিটি’র কাছে আবদুল রহমান মক্কিকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ বা আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার দাবি জানিয়ে একটি প্রস্তাব পেশ করেছিল নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য চিনের ভেটোয় সেই প্রস্তাব পাশ হয়নি।
[আরও পড়ুন: রুশ গোলা অগ্রাহ্য করেই কিয়েভে তিন রাষ্ট্রপ্রধান, ইউরোপীয় ইউনিয়নে কি জায়গা পাবে ইউক্রেন?]
অতীতেও রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানি জঙ্গিদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে চিন (China)। কিন্তু ২০১৯ সালে রাষ্ট্রসংঘে বড় কূটনৈতিক জয় হয় নয়াদিল্লির। প্রায় এক দশকের চেষ্টার পর পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারকে ‘আন্তর্জাতিক জঙ্গি’ ঘোষণা করে রাষ্ট্রসংঘ। বলে রাখা ভাল, আগেই হাফিজ সইদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। হাফিজের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছে আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ২০১০ সালে আবদুল রহমান মক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। তারপর থেকেই আবদুল রহমান মক্কিকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ ঘোষণার চেষ্টা চালাচ্ছে নয়াদিল্লি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল হাফিজেরই নেতৃত্বে। ঘৃণ্য সেই জঙ্গি হামলার শিকার হতে হয়েছিল ১৬৬ জন নিরীহ মানুষকে। সেই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল মক্কিও। পরে হাফিজ ও মক্কি দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয় পাকিস্তানে। কিন্তু সেদেশ থেকে জেহাদের বিষ ছড়িয়েই যাচ্ছে তারা। ফলে পাকিস্তানের উপরে সন্ত্রাসে আর্থিক মদতের অভিযোগে আন্তর্জাতিক চাপ লাগাতার বাড়ছে।