সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আবারও চিনে (China) করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক। মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ন্য়ূনতম ঝুঁকিও নিতে রাজি নয় বেজিং। কিন্তু তবুও ডেল্টা স্ট্রেনের দাপটে সেই নিশ্ছিদ্র বর্মেও ছিদ্র তৈরি হয়ে গিয়েছে। হু হু করা বাড়ছে সংক্রমণ। স্বাভাবিক ভাবেই আরও কড়াকড়ি শুরু করেছে। অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে বহু অঞ্চলেই ফের জারি করা হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। পরীক্ষার মাত্রাও বাড়ানো হয়েছে। প্রায় বছর দুয়েক আগে ইউহান থেকে কোভিড সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করার পর দেশের এত বেশি অঞ্চলে এর আগে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়নি।
এদিকে প্রশাসনের তরফে সকলকে জরুরি জিনিসপত্র মজুত করতে বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ ঘিরে ফের সংশয় তৈরি হয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলি কি ফের পুরোপুরি লকডাউনের পথে চলে যাবে চিন? অবশ্য সেই সঙ্গে এমনটাও দাবি উঠছে, তা নয়, এবার তাইওয়ান দখল করতে চলেছে চিন। সেই জন্যই দেশবাসীকে এমন পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে লকডাউনের গুঞ্জন তাতে চাপা পড়েনি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দোকানবাজারে ঠাসা ভিড়ের ছবি দেখা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: চলতি বছরের সেরা ইংরেজি শব্দ কোনটি? ঘোষণা অক্সফোর্ড ডিকশনারির]
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চেন ঝেংমিংয়ের মতে, ”আমার ব্যক্তিগত ধারণা, আরও একটা বছর চিনে বন্দিদশাই চলবে।” সেই সঙ্গে চিনের টিকাকরণ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, চিনের টিকাকরণ হার অত্যন্ত বেশি। কিন্তু বুস্টার ডোজের জন্য পর্যাপ্ত টিকা নেই। তাই সংক্রমণ না কমলে চিন এখনই বন্দিদশা থেকে পুরোপুরি মুক্ত করবে না নিজেকে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের ইউহান শহর থেকেই প্রথম ছড়াতে শুরু করেছিল করোনা সংক্রমণ। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে সারা বিশ্বে। শুরু হয় অতিমারী। কিন্তু চিন দ্রুত সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল। কিন্তু একবার ফের, সেদেশে করোনার সংক্রমণের রক্তচক্ষু দেখে সতর্ক প্রশাসন। এবারও কড়া হাতে মহামারী নিয়ন্ত্রণ শুরু করেছে কমিউনিস্ট দেশটি।