সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান নিয়ে সংঘাত। চিনের (China) সঙ্গে ক্রমে যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা। এবার নাকি কমিউনিস্ট দেশটি জোরকদমে একটি গোপন হাতিয়ার তৈরি করছে। যা কার্যত ‘যুদ্ধের দেবতা’র সমতুল্য।
[আরও পড়ুন: করোনার উৎস না মিললে COVID-26 ও COVID-32-এর কবলে পড়বে বিশ্ব! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের]
সোভিয়েত পরবর্তী যুগে ‘আঙ্কেল স্যাম’কে কড়া টক্কর দিচ্ছে ‘ড্রাগন’। এহেন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে যে একটি অত্যাধুনিক স্টেল্থ বোমারু বিমান তৈরি করছে যা প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে আণবিক বোমাবর্ষণ করতে সক্ষম হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে চিনের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘Norinco’। সেখান থেকেই একটি নয়া বোমারু বিমান তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা জানা গিয়েছে। স্টেল্থ প্রযুক্তি অর্থাৎ রাডারে অদৃশ্য এই বিমানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘Xian H-20’। তৈরি হলে বিমানটি গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে আণবিক বোমা ফেলতে পারবে বলেই খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের বোমারু বিমানটি অনেকটাই মার্কিন বায়ুসেনার ‘B-2 Spirit’ যুদ্ধবিমানের মতো। ফলে বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, কোনওভাবে মার্কিন প্রযুক্তি হস্তগত করেই চিন নয়া বিমানটি তৈরি করছে। তবে চিনের হাতে এহেন হাতিয়ার এলে আমেরিকার বিপদ যে বাড়বে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন সাফ জানিয়েছিল, তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে চিন (China)। আর যুদ্ধ শুরু হলে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে মদত দেবে আমেরিকা। এর জন্য লালফৌজকে ঘিরে ফেলতে জাপানের (Japan) সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে মার্কিন কর্তাদের বলে খবর। সম্প্রতি, আগামী বছর ছয়েকের মধ্যেই তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন দাবি করেছেন এক শীর্ষ মার্কিন সেনাকর্তা। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন সেনাকর্তা অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসনের বক্তব্য, “২০৫০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ক্ষমতা অর্জন করতে চায় চিন (China)। তারা আন্তর্জাতিক আইন সেই অর্থে মানে না। এই বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমার মনে হয়, আগামী ছয় বছরের মধ্যে তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চিন।” ফলে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি যে অত্যন্ত উদ্বেগজনক তা স্পষ্ট।