সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার একদিনের ঝটিকা সফরে প্রয়াগরাজে পৌঁছে গিয়েছিলেন দেবলীনা কুমার (Devlina Kumar)। সঙ্গী বাবা দেবাশীষ কুমার এবং মা দেবযানী কুমার। সকালে মহাকুম্ভে যোগ দিয়ে ত্রিবেণী সঙ্গমে স্নান, আর সন্ধেয় কলকাতায় 'আমোদিনী'র প্রচার অনুষ্ঠান। গোটা দিনটা ঝড়ের গতিতে কেটেছে অভিনেত্রীর। সময় এতটাই কম ছিল যে, বিমানবন্দরের শৌচালয়ে কাপড় বদলে কলকাতায় ফিরতে হয়েছে দেবলীনাকে। মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান করে কেমন অনুভূতি? সংবাদ প্রতিদিন ডট ইন-এর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন দেবলীনা কুমার।
কেন এই ঝটিকা সফর? অভিনেত্রী জানালেন, শনিবার বাবা দেবাশীষ কুমার তিনটে টিকিট পেয়ে গিয়েছিলেন। চটজলদি প্ল্যান করে মা-বাবার সঙ্গে পৌঁছে গিয়েছিলেন প্রয়াগরাজে। তাঁর কথায়, "আবার ১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ (Maha Kumbh 2025) হবে। তাই সেই উৎসবের সাক্ষী থাকতে চেয়েছিলাম।" ত্রিবেণী সঙ্গমে মা-বাবার সঙ্গে আস্থার ডুবও দিলেন অভিনেত্রী। দেবলীনা বরাবরই ঈশ্বরে বিশ্বাসী। বাড়িতে এমনকী তাঁর নাচের প্রতিষ্ঠানেও পুজোঅর্চনা করেন। শ্বশুরবাড়ির লক্ষ্মীপুজোও নজর থাকে লক্ষ্মীমন্ত বউমার। সেই টানেই এবার মহাকুম্ভেও পৌঁছে গিয়েছিলেন দেবলীনা। অভিনেত্রী জানালেন, "ঐশ্বরিক অনুভূতি। বিশেষ করে গঙ্গা-যমুনার জল যেখানে মিশেছে, সেই সঙ্গমস্থলে দাঁড়িয়ে প্রকৃতির লীলা উপভোগ করলাম। খুব ভালো লেগেছে। তবে মারাত্মক ভিড়। রাস্তায় প্রচুর যানজট। ফেরার সময়ে বিমান মিস করার ভয়ে তাই ভেজা কাপড়েই বিমানবন্দরে পৌঁছেছি।
তবে আমাদের গাড়ির চালক যেন সাক্ষাৎ দেবদূত ছিলেন। ওঁর তৎপরতাতেই বিমান ধরা সম্ভব হয়েছে। একেবারে আপনজনের মতোই তড়িঘড়ি আমাদের বিমানবন্দরে পৌঁছে দিয়েছিলেন উনি।"
এদিকে ২ ঘণ্টা উড়ান দেরি থাকায় কলকাতায় আমোদিনীর প্রচারের অনুষ্ঠানে পৌঁছতেও দেরি হয় তাঁর। তবে সামাল দেওার জন্য নিজের টিম এবং মনোজ মুরলী নায়ারকে ধন্যবাদ জানালেন দেবলীনা। কিন্তু মহাকুম্ভ সফরে স্বামী গৌরব চট্টোপাধ্যায় 'মিসিং' কেন? দেবলীনা কুমার জানালেন, "স্টার জলসার অ্যাওয়ার্ড শো ২০ তারিখ। গৌরব বর্তমানে সেটা নিয়েই খুব ব্যস্ত। তাছাড়া ও একদম ভিড় পছন্দ করে না। গৌরবের পুরীর মন্দিরের ভিড়েও অস্বস্তি হয়। আর মহাকুম্ভে তো আরও মারাত্মক ভিড়। তাই যায়নি। আর আমি বিশ্বাস করি, কাউকে এসব বিষয়ে জোর করা উচিত নয়।"
