সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লগ্নজিতা বিতর্কের পুনরাবৃত্তি। এবার একই ঘটনার শিকার জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী মধুবন্তী মুখোপাধ্যায়। ঘটনাস্থল নদীয়ার মাজদিয়া। মঞ্চে গান গাইতে উঠলে তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হন মধুবন্তী। লগ্নজিতার মতো তাঁকেও নাকি 'ধর্মের গান' গাইতে নিষেধ করা হয়। ঠিক কী ঘটেছিল?
মধুবন্তী নিজের সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে পোস্ট করে জানান যে, মাজদিয়া কৃষ্ণগঞ্জ লালন উৎসবে লোকসঙ্গীত পরিবেশন করার জন্য তাঁর সঙ্গে নাকি যোগাযোগ করা হয়েছিল। ২১ ডিসেম্বর তাঁর অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে 'তোমরা কুঞ্জ সাজাও গো' গানটি গাওয়ার পরই নাকি আক্রমণের শিকার হন মধুবন্তী। গান শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকাসন থেকে মঞ্চে আচমকাই উঠে এসে গায়িকার হাত থেকে নাকি কেড়ে নেওয়া হয় মাইক্রোফোন। একইসঙ্গে বলা হয় যে কোনও জাতপাতের গান গাওয়া যাবে না। দর্শক-শ্রোতারা সেই গান শুনতে চান না। পরিস্থিতি এরপর ক্রমেই জটিল হচ্ছিল। আয়োজকদের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। শিল্পী জানান যে, তাঁর দীর্ঘ কেরিয়ারে এরকম ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। প্রতিটি শিল্পীর নিজের কাজ করার স্বাধীনতা থাকা উচিৎ বলেই জানিয়েছেন মধুবন্তী।
গায়িকার এহেন পোস্টের পর থেকে নেটপাড়াতেও শুরু হয়েছে জোর সমালোচনা। নিন্দায় মুখর হয়েছে নেটপাড়া। লগ্নজিতার পর মধুবন্তী। ক্রমেই কপালে ভাঁজ পড়ছে শিল্পীদের। বলে রাখা ভালো, সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলে গানের অনুষ্ঠান ছিল লগ্নজিতার। সেই অনুষ্ঠানে কয়েকটি গান গাওয়ার পর, ‘জাগো মা’ গানটি গাওয়া শুরু করলে অভিযোগ, আপত্তি জানান স্কুলের অন্যতম মালিক মেহবুব মালিক। তিনি দাবি তোলেন ধর্মনিরপেক্ষ গান গাইতে হবে। অভিযোগ, সেই সময় মেহবুব মঞ্চে উঠে গায়িকাকে মারধরও নাকি করতে যান। এরপরই গায়িকার পক্ষ থেকে ভগবানপুর থানায় একটি অভিযোগ জানানো হয়। অনুষ্ঠানের আয়োজক স্বার্থক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, “লগ্নজিতা চক্রবর্তী ৬-৭টি গান গাওয়ার পরে দেবী চৌধুরানী সিনেমার ‘জাগো মা’ গানটি গাইছিলেন। সেই সময় ভগবানপুরের সাউথ পয়েন্ট পাবলিক স্কুলের মালিক মেহেবুব মালিক মঞ্চে উঠে শিল্পীকে মারধর করতে যান। তাঁর দাবি ছিল, সেকুলার গান হোক। এসব গান চলবে না। ভরা মঞ্চে হেনস্তা করা হয় শিল্পীকে।
