সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সদ্য মহাকুম্ভ থেকে ফিরেছেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। গুরুর শিবিরে থেকে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়ে আধ্যাত্মিক সফরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছিলেন অভিনেত্রী। আর শহরে ফিরতেই তাঁর জন্মদিন। এবার অবশ্য অপরাজিতার জন্মদিন উদযাপনটা হল খানিক অন্যভাবেই। কাছের এক বান্ধবী কিনা সেদিনই অপরাজিতা আঢ্যকে দেবীজ্ঞানে পুজো করলেন!
বিশেষ মানুষের বিশেষ দিন বলে কথা! তাই অপরাজিতার পুজোরও আয়োজনেও কোনওরকম খামতি রাখেননি সেই বান্ধবী। বয়সের সংখ্যা মিলিয়ে সারা ঘর সাজিয়েছেন প্রদীপ দিয়ে। অভিনেত্রীর চলার পথে ছড়িয়ে দিয়েছেন ফুলের পাপড়ি। বান্ধবীর হাত ধরে ঘরে ঢুকেই অভিভূত হয়ে গেলেন অপরাজিতা আঢ্য। দেখা গেল, গাঁদা ফুল আর গোলাপের পাপড়ি দিয়ে সাজানো পথে হেঁটে আসন গ্রহণ করলেন প্রথমে। এরপরই অভিনেত্রীর মাথায় গঙ্গাজলে অভিষেক করে ফুলের মালা পরিয়ে দেওয়া হল। পুষ্পাভিষেকের পর আরতিও করলেন সেই বান্ধবী। হাতে দেওয়া হল ফলের থালা। পরিবারের সদস্যরাও অপরাজিতা আঢ্যকে দেবীজ্ঞানেই পুজো করলেন! সেইসময়ে অভিনেত্রীকে খানিকটা আবেগপ্রবণই দেখাল। ঈশ্বরের কাছে দু হাত তুলে প্রার্থনা করলেন তিনি। সেই ভিডিও নিজেই ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন অপরাজিতা।
জন্মদিনে এমন আয়োজনে কেমন অনুভূতি অপরাজিতা আঢ্যর? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, "জন্মক্ষণে মানবাত্মার মাঝে পরমাত্মার যে উপস্থিতি, তা হৃদয়ের অন্তঃস্থলে রয়ে যায় আজীবন। জন্মক্ষণের সেই লগ্ন যখন ফিরে ফিরে আসে তখন হৃদয়ের মাঝে মানবাত্মা ও পরমাত্মার মেলবন্ধনে যে উৎসব, তারই আয়োজন হয়ে আসে জন্মদিন। "এমন মানব জনম রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।"- আর তাই মানবজন্মের মতো সমাদরের আর কিছুই নেই, যে জন্মে প্রতি মুহূর্তে থাকে নির্বাচন করে নেওয়ার শক্তি, সেই শক্তির স্বরূপ মহাবিশ্বে ব্যাপ্ত, তিনিই ঈশ্বর। সেই ঈশ্বরের প্রতি আমার বন্ধু সোমা অর্ঘ্য জ্ঞাপন করল আমার জন্মদিনে। আর পাশে পেলাম আরও এক ঐশ্বরিক শক্তিকে, যার স্বরূপ আমার পরিবার। এ উপহার আমার জন্ম লগ্নে কোমল স্পর্শ হয়ে রইল আজীবন। এই তো পাওয়া, এই তো জীবন। ঋদ্ধতা পাথেয় হয়ে রয় নিরন্তর।"
