সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লকডাউনের জেরে গোটা দেশ যখন বন্ধ, তখন বিশেষ করে যে নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা সবচাইতে বেশি সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, তা বোধহয় আর আলদা করে বলার প্রয়োজন পড়ে না। দিন আই দিন খাই মানুষগুলোর রোজগারের পথ বন্ধ। বাড়ির ভাঁড়ারে থাকা চাল, ডাল, অত্যাবশকীয় রসদও অনেকেরই ফুরিয়েছে। যৎসামান্য সঞ্চিত অর্থ দিয়েও আর কদিন? অতঃপর সাহায্যই ভরসা! ঠিক এরকম একটি অবস্থায় কিন্তু সমস্যায় পড়েছেন যৌনকর্মীরাও। খদ্দের নেই। খাবার-রেশন তো দূরের কথা, অনেকেই এইসময়ে আবার মাথা গোজার ঠাঁই নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। দিন কয়েক আগেই কলকাতা সোনাগাছির এরকম একটি রূঢ় বাস্তব দৃশ্য তুলে ধরেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। এবার লকডাউনে অনটনের সঙ্গে যুঝে চলা পতিতালয়ের সেই যৌনকর্মীদের দিকেই সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলেন অভিনেতা-পরিচালক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
সোনাগাছির যৌনপল্লীতে প্রায় ১০ হাজার মানুষের বাস। এই কঠিন পরিস্থিতিতে কিছু মানুষের হাতে টাকা থাকলেও বাকিরা কার্যত নিঃস্বই। একপ্রকার অনাহারেই দিন কাটছে প্রায় সিংহভাগের। তাই সোমবার দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সোনাগাছি অঞ্চলের যৌনকর্মীদের হাতে তুলে দিলেন খাবার এবং অত্যাবশকীয় সামগ্রী। এদিন দুর্বারের নীলমণি মিত্র স্ট্রিটের অফিসে যান পরমব্রত নিজে। সেখান থেকেই দুস্থ যৌনকর্মীদের হাতে রেশন তুলে দেন অভিনেতা।
[আরও পড়ুন: নিজের আঁকা ছবি বিক্রি করে পথকুকুর ও গৃহহীনদের খাওয়ানোর টাকা তুলছে ফারহার ছোট্ট মেয়ে]
সেই ছবি পরমব্রত তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে লিখেছেন, “সমাজের মানসিকতা এখনও বদলায়নি। অচ্ছুত, একঘরে করে দেওয়ার মানসিকতা সেই এখনও রয়েই গিয়েছে। এই লকডাউনে তা আরও ভালভাবে উপলব্ধি করলাম। এঁরা দৈনিক পারিশ্রমিকে কাজ করেন। কিন্তু লকডাউনে সমস্যায় পড়েছেন। তাই দুর্বারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে শহরের সবচেয়ে বড় যৌনপল্লীর পরিবারের হাতে কিছুটা প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।” “আর সকলেই যদি সাধ্যমতো এভাবে ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা করে, তাতে তো ক্ষতি নেই”, বলেই মত পরমব্রতর। উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও দুর্বারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে যৌনকর্মীদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছিলেন।
[আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যকর্মীদের পর এবার দুস্থদের সেবায়, রোজ ৪৫ হাজার মানুষকে খাওয়াবেন সোনু সুদ]
The post ‘সমাজের অচ্ছুত মানসিকতা আজও বদলায়নি’, লকডাউনে দুস্থ যৌনকর্মীদের পাশে পরমব্রত appeared first on Sangbad Pratidin.
