সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি কাণ্ডে প্রথম থেকেই প্রতিবাদে কণ্ঠ ছেড়েছিলেন অভিনেত্রী চৈতী ঘোষাল, দেবলীনা দত্ত, বিদিপ্তা চক্রবর্তী, তনিকা বসুরা। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতা সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত। রাত দখল থেকে শুরু করে প্রতিবাদী মিছিলেও দেখা গিয়েছিল টলিউডের এই শিল্পীদের। আর এবার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে এবার প্রতীকী অনশন(Junior Doctors Strike) করতে চলেছেন এই শিল্পীরা। শনিবার সকাল ১১টা থেকে ধর্মতলায় অনশন মঞ্চে গোটা একদিন প্রতীকী অনশনে যোগ দেবেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, এদিন শুধু তারা জল খাবেন। আর প্রয়োজনে ওষুধ। রবিবার সকাল ১১ টা নাগাদ অনশন ভাঙবেন শিল্পীরা।
এই প্রতীকী অনশন নিয়ে বলতে গিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে অভিনেত্রী ও নাট্যব্যক্তিত্ব চৈতী ঘোষাল জানান, ''এই প্রতিবাদ কি শুধু চিকিৎসকদের? ওরা তো জনগণদের জন্যও বলছে। আমরা তো সবাই চাই, একটা সুরক্ষিত কর্মস্থল। আমরা কি চাই, ভেজাল ওষুধ বিক্রি হোক? আমরা কি চাই, থ্রেট কালচার চলুক? আমরা কি চাই দালাল ধরে কাজ করতে? এই প্রতিবাদ তো আমাদের সবার। এই দুনীর্তির ক্ষতিটা তো সবার। আর যাতে তিলোত্তমার মতো ঘটনা না হয়, রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করার পরেও, কৃষ্ণনগরের মতো ঘটনা ঘটছে। কুলতলিতে ৯ বছরের শিশুর সঙ্গে ঘটেছে। এটা তো বন্ধ হতে হবে। তাই এই প্রতিবাদ শুধুই জুনিয়র চিকিৎসকদের নয়। কিন্তু তবুও তাঁরাই শুধু এতঘণ্টা ধরে অনশন করে যাচ্ছে। আমি সংবাদ মাধ্যমের হাত ধরেই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে চাই, এসে কথা বলুন, সরকারের মানবিক মুখটা দেখতে চাই। দেরি হলেও দেখতে চাই। এসে কথা বলুন। আজকে চিকিৎসকদের যদি কিছু ঘটে যায়, তাহলে বাংলার মুখ, সারা দেশের কাছে ভালো হবে!''
গত ৯ আগস্ট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সেমিনার হল থেকে তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয়। অভিযোগ, ধর্ষণ ও খুন করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় সুবিচার-সহ ১০ দফা দাবিতে আন্দোলনে শামিল জুনিয়র ডাক্তাররা। এসএসকেএমের অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কেপিসি মেডিক্যালের সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা, কলকাতা মেডিক্যালের স্নিগ্ধা হাজরা এবং আলোলিকা ঘোড়ুই, শিশুমঙ্গলের পরিচয় পাণ্ডা, অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ হাইজিন অ্যান্ড পাবলিক হেলথের রুমেলিকা কুমার, মেদিনীপুর মেডিক্যালের স্পন্দন চৌধুরী এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সন্দীপ মণ্ডল বর্তমানে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
অনশনের ফলে অসুস্থ হয়ে এখনও হাসপাতালে রয়েছেন কলকাতা মেডিক্যালের তনয়া পাঁজা এবং অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়, এনআরএসের পুলস্ত্য আচার্য, উত্তরবঙ্গের সৌভিক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অলোক বর্মা। সদ্যই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন আর জি কর মেডিক্যালের অনিকেত মাহাতো। যাঁরা এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে ক্রমশ। তাঁদের নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর।