সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশেই রাজনীতি থেকে বাণপ্রস্থ ঘোষণা করেছেন মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। রাজনীতির ময়দান থেকে দূর-দূরান্তে সিনেদুনিয়ার লাইমলাইটেই বর্তমানে ব্যস্ত তিনি। সম্প্রতি ফিনল্যান্ড সফরে গিয়েছেন মিমি। আর সেখান থেকে একের পর এক শ্বেতশুভ্র ছবি পোস্ট করে অনুরাগীদের নজর কেড়েছেন। সেখানেই দেখা গেল, ঠান্ডার দেশে গিয়েও 'কফি নয়' আপামর বাঙালির মতোই চায়ে মজেছেন অভিনেত্রী। আর সেই ছবি শেয়ার করেই নায়িকা-গায়িকার প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। যে পোস্ট ঘিরে রবিবাসরীয় নেটপাড়া বেশ সরগরম।

ফিনল্যান্ড থেকে শেয়ার করা ছবিতে দেখা গেল, এক ক্যাফেটেরিয়ায় বসে নিশ্চিন্ত মনে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দিচ্ছেন মিমি। অভিব্যক্তিই বলে দেয়- এ যেন স্বর্গসুখ প্রমাণ! আর তৃণমূল সাংসদের ফিনল্যান্ড সফর ডায়েরি থেকে সেই ছবিটিই শেয়ার করেছেন কুণাল ঘোষ। ক্যাপশনেই ঠাহর করা গেল যে, মিমি চক্রবর্তীর কাজ নিয়ে বেশ ওয়াকিবহল তিনি। কুণাল তাঁর সোশাল মিডিয়ায় লিখেছেন, একে মিমিকে পর্দায় আমার দারুণ লাগে, উপরন্তু আমি চা-ভক্ত। তাই ফিনল্যান্ড ভ্রমণে মিমির এই চা-তৃপ্তির ছবিটি দেখে মুগ্ধ। ভারী শক্তিশালী অভিনেত্রী। 'যোদ্ধা'র রাজকুমারী সাজসজ্জা থেকে 'বোঝে না সে বোঝে না'র সাধারণ লুকটিই যেন অসাধারণ। 'রক্তবীজ' ছবিতে 'সংইউক্তা' করেছে ফাটিয়ে। শুধু অভিনেত্রী মিমির প্রশংসা করেই ক্ষান্ত হননি তিনি, বরং গায়িকা হিসেবেও তাঁর 'তারিফ' করেছেন কুণাল ঘোষ। পোস্টে তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের সংযোজন, "এর মধ্যে দেখলাম 'আমারো প্রাণ যাহা চায়' রবীন্দ্রসঙ্গীতটি চমৎকার গেয়েছে। যদিও প্রাক্তন সাংসদ তারকার সঙ্গে আমার আলাপ নেই, তবু, রবিবাসরীয় সকালে পর্দার প্রিয় মুখটির চা-তৃপ্তির ছবিটি পোস্ট করলাম।"
দাবানল গতিতে ভাইরাল সেই পোস্ট দেখে মিমি অনুরাগীদের অনুমান, তাহলে কি বাণপ্রস্থ কাটিয়ে রাজনীতির ময়দানে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন অভিনেত্রী? যদিও ফিনল্যান্ড ট্যুরে ব্যস্ত নায়িকা সোশাল মিডিয়ায় এই প্রেক্ষিতে নীরব! কুণালের পোস্টের পালটা কোনওরকম প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি তাঁকে। তবে মিমি চক্রবর্তীর ট্যুর ডায়েরি দেখে ঈর্ষান্বিত ভ্রমণপিপাসুরা।
প্রসঙ্গত, গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন অভিনেত্রী। নবান্ন থেকে বেরিয়েই জানিয়েছিলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে আর প্রার্থীও হতে চান না। সাংসদ খাতের হিসেব নিয়ে বিরোধী শিবিরের নেতা-মন্ত্রীরা নানা সমালোচনা করতেই কাজের খতিয়ান দেখিয়ে পালটা নিন্দুকদের চ্যালেঞ্জও ছুঁড়েছিলেন মিমি। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের টিকিটে জিতে যাদবপুরের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন। এই কয়েক বছরে মোট ১৭ কোটি টাকার বেশি কাজ করেছেন সংসদীয় এলাকার জন্য। কোন এলাকায় কত টাকা খরচ হয়েছে? রাজনীতিকে বিদায় জানানোর আগে তার হিসেবও দিয়ে গিয়েছেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে।