সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আইফা'র মঞ্চে গাঁয়ের বধূদের কাহিনির জয়জয়কার। চলতি বছর দশটি পুরস্কার জিতে বাজিমাত করেছে কিরণ রাও পরিচালিত 'লাপাতা লেডিজ'। আর সেই তালিকায় 'সেরা অভিনেত্রী' বিভাগের পুরস্কারও রয়েছে। আলিয়া ভাট (জিগরা), শ্রদ্ধা কাপুর (স্ত্রী ২), ক্যাটরিনা কাইফ (মেরি ক্রিসমাস), ইয়ামি গৌতমদের (আর্টিকল ৩৭০) মতো সুপারস্টার নায়িকাদের টেক্কা দিয়ে 'সেরা অভিনেত্রী'র পুরস্কার জিতে নিয়েছেন নীতাংশী গোয়েল। আন্তর্জাতিক পুরস্কারের ময়দানে ছক্কা হাঁকানোর পর যে আইফা-তেও 'লাপাতা লেডিজ' বাজিমাত করবে, তেমন প্রত্যাশা ছিলই। তবে আলিয়া-ক্যারিনাদের হারিয়ে যে তাঁর মাথায় সেরার শিরোপা উঠবে, সেটা সম্ভবত কল্পনা করতে পারেননি নীতাংশী (Nitanshi Goel)। অতঃপর পুরস্কার হাতে পেয়েই আইফার মঞ্চে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন কিরণের 'লাপাতা লেডিজ'।

রবিবাসরীয় সন্ধেয় জয়পুরের আইফা জলসায় নীতাংশীর হাতে সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার তুলে দেন ববি দেওল এবং বোমান ইরানি। বলিউডে পা দিয়েই পয়লা সিনেমার জন্য সেরা নায়িকার পুরস্কার জিতেছেন নীতাংশী। তাঁর অভিনীত 'ফুল কুমারী' চরিত্রটি সিনেসমালোচকদের পাশাপাশি দর্শকদের মনেও বেশ দাগ কেটেছিল। এবার হাতেনাতে সেই ফল পেয়েই আইফা'র মঞ্চে কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী। সেই আবেগঘন মুহূর্ত ক্যামেরাবন্দিও হয়েছে। পুরস্কার হাতে নীতাংশী গোয়েলকে বলতে শোনা যায়, "আমার এতটা প্রত্যাশা ছিল না। জানতাম, লাপাতা লেডিজ বাজিমাত করতে চলেছে তবে আমি যে নিজে পুরষ্কৃত হব, সেটা কল্পনাও করিনি। মনোনয়ন তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, তাঁরা প্রত্যেকেই অসাধারণ দক্ষ অভিনেত্রী। আমি নিজে তাঁদের বড় অনুরাগী। এই পুরস্কার পেয়ে আমি সত্যিই খুব খুশি।" টিমের উদ্দেশে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার পরই নীতাংশীকে কেঁদে ফেলতে দেখা যায়। তিনি বলেন, "সত্যি বলছি, নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। কারণ এটা আমার কাছে স্বপ্নপূরণ। তাই চোখের জল বাঁধ মানেনি। কিরণ ম্যাম আর আমার মাকে আলিঙ্গন করে ফেলি আনন্দের চোটে।"
'গাঁয়ের বধূ'দের গল্প যে দর্শকদের এত পছন্দ হবে, তা আগে অনেকেই বুঝতে পারেনি। কিন্তু, স্পর্শ শ্রীবাস্তব, নীতাংশী গোয়েল ও প্রতিভা রান্টার মতো তরুণ তুর্কিদের নিয়ে কামাল দেখিয়েছেন পরিচালক কিরণ রাও। গত বছর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছিল কিরণ রাও পরিচালিত 'লাপাতা লেডিজ'। ছবির অন্যতম প্রযোজক আমির খান। প্রায় পাঁচ কোটি বাজেটে তৈরি এই ছবি পঁচিশ কোটি টাকার বেশিন ব্যবসা করে ফেলেছে। সমালোচকমহলেও সমাদৃত এবং পরবর্তীকালে OTT-তে বহু দর্শক ছবিটি দেখেছেন ও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।
ছবিতে উগ্র পৌরুষের শিকল থেকে মুক্ত হয়ে নিজের শর্তে বাঁচার স্বপ্ন দেখেছিল জয়া। তাই তো পুষ্পা সেজে দীপকের পিছু পিছু হেঁটেছিল সে। ওদিকে দীপক হন্যে হয়ে খুঁজেছিল নিজের আদরের ফুল কুমারীকে। হারিয়ে যাওয়া স্ত্রীকে একবারের জন্যও চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করেনি সে। সাধারণ মানুষের এই অসাধারণ গল্পই ‘লাপাতা লেডিজ’-এ তুলে ধরা হয়েছে। পার্শ্ব চরিত্র রবি কিষেণও নজর কেড়েছিলেন।