সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠাকুরপুকুর দুর্ঘটনার তিন রাত পার। রবিবার সংশ্লিষ্ট এলাকার বাজারে আচমকাই ঝড়ের গতিতে ঢুকে পড়ে মদ্যপ পরিচালকের গাড়ি। কমপক্ষে পাঁচ-ছয় জনকে ধাক্কা মেরে এক ব্যক্তিকে পিষে দেয় ঘাতক গাড়িটি। ইতিমধ্যেই পরিচালক ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস জেল হেফাজতে। যে ঘটনা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে মানুষ। তোলপাড় টলিমহল। এমন আবহেই ভিক্টোর 'ঠিকুজি-কুষ্ঠি' খুঁড়ে নেটপাড়ার আবিষ্কার, রাজ চক্রবর্তীর ভাগ্নির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন অভিযুক্ত পরিচালক। ব্যস! তারপর থেকেই আমজনতার ব়্যাডারে রাজের পরিবার। ভিক্টোর কীর্তির জন্য অযথা সমালোচিত হতে হচ্ছে তার প্রেমিকাকে। যিনি ঘটনার রাতে উপস্থিতও ছিলেন না সেই গাড়িতে। শুধু তাই নয়, রাজের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়েও কুৎসা করা হচ্ছে! এমতাবস্থায় বিতর্ক বাড়তেই এবার মুখ খুললেন রাজ চক্রবর্তী।

জানা যায়, রাজ চক্রবর্তীর 'গোধূলি আলাপ' সিরিয়ালটি পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন ভিক্টো। আর সেই প্রজেক্টেই যুক্ত ছিলেন রাজের ভাগ্নি। সেখান থেকেই প্রেমের সূত্রপাত। এদিকে সিদ্ধান্তের প্রোফাইলে দুজনের রোম্যান্টিক ছবি দেখে নেটিজেনদের একাংশ এতটাই জ্বালাতন করা শুরু করেছে যে বাধ্য হয়ে নিজের প্রোফাইল নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছেন রাজের ভাগ্নি। অন্যদিকে ঘটনাটিকে রাজনৈতিক রং লাগানোয় ক্ষিপ্ত তারকা বিধায়ক। এবার অযাচিত বিতর্ক নিয়ে খড়্গহস্ত টলিউড পরিচালক। সন্তানসম ভাগ্নি বিতর্কে জড়ানোয় নিন্দুকদের রেয়াত করে কথা বললেন না তিনি। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই বিষয়ে রাজ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "আমার ভাগ্নির বয়স ২১ বছর। ওই পরিচালকের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বাচ্চা মেয়েটি কী জানত যে, ভিক্টো মদ্যপ অবস্থায় এমন কাণ্ড ঘটাবে? ভিক্টো যা করেছে, সেটা ক্ষমার অযোগ্য। আইন অনুযায়ী শাস্তির দাবি করছেন সকলে। কিন্তু আমার ভাগ্নিকে জড়িয়ে বিষয়টাতে যেভাবে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা চলছে, তাতে আমি হতবাক! মেয়েটি তো ভালোবেসেই সম্পর্কে জড়িয়েছিল। তাহলে কেন ওকে টানা হচ্ছে?"
রাজের সংযোজন, "কিছু মানুষ থাকেন, যাঁরা আসল বিষয়টা ছেড়ে একটা অন্য ন্যারেটিভ তৈরি করার চেষ্টা করেন। আর সেই ন্যারেটিভের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ ঢুকে যান। এখানে একজন ২১ বছরের মেয়েকে টার্গেট করা হচ্ছে। একজন মেয়ে, যাঁর ওই অ্যাক্সিডেন্টের সঙ্গে কোনও যোগই নেই, ওর দোষটা কোথায়? এভাবে টার্গেট করে আমাদের পরিবারের উপর চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমার ভাগ্নির মানসিক অবস্থা ঠিক কী! এটা তো কেউ জানতে চাইছে না। এমনকী ওর ছবি ব্যবহার করে মিথ্যে প্রচার চালানো হচ্ছে। ভিক্টো দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যে পর্যায়ের দোষ করেছে, আর আমার ভাগ্নির নাম জড়িয়ে যারা অযাচিত বিতর্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে, এক্ষেত্রে নোংরামির মাত্রা একই।" (ঘটনার সঙ্গে জড়িত না থাকায় রাজ চক্রবর্তীর ভাগ্নির নাম ও ছবি ব্যবহার করা হয়নি।)