সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বক্স অফিসে বলিউডের সঙ্গে দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রির রেষারেষি বরাবরের। দীর্ঘদিন ধরেই সিনেবাজারে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশের দুই সিনেইন্ডাস্ট্রি। যদিও বর্তমানে দাক্ষিণাত্যভূমের প্রযোজক-পরিচালকদের বিগ বাজেট সিনেমায় বহু বলিউড তারকারা অভিনয় করছেন। এমনকী দক্ষিণী তারকারাও প্যান ইন্ডিয়া দর্শকদের কাছে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিচ্ছেন। তবে বলিউড বনাম দক্ষিণের ঠান্ডা লড়াই মাঝেমধ্যেই চর্চার শিরোনামে বিরাজ করে। যদিও ব্যবসার নীরিখে দক্ষিণের পাল্লাই ভারী। এমতাবস্থায় বলিউডের থেকে দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রিতেই ভরসা রাখলেন সলমন খান। খবর, তেলেঙ্গানায় দশ হাজার কোটির ফিল্ম সিটি বানাতে চলেছেন ভাইজান।
বলিউড মাধ্যম সূত্রে খবর, ৫০০ একর জমির উপর গড়ে উঠতে চলেছে এই সুবিশাল ফিল্ম সিটি। তবে এই উদ্যোগকে শুধু 'সিনে নগরী' হিসেবে আখ্যা দিতে নারাজ সলমন খান ভেঞ্চার্স প্রাইভেট লিমিটেড। তাঁদের ভাবনা, এই টাউনশিপ বাস্তবায়িত হলে এখানে বিনোদন, পর্যটন, সিনেমা ও আবাসন-সব একছাতার তলার থাকার ফলে বিশ্বমানের এক আধুনিক শহর গড়ে উঠবে। সেপ্রক্ষিতে দেখলে হলে এইপ্রথম ভারতে এমন কোনও প্রকল্প হতে চলেছে। যেখানে সিনেমা এবং পর্যটন মিলেমিশে পূর্ণাঙ্গ বিনোদন নগরী গড়ে উঠবে। ইতিমধ্যেই তেলেঙ্গানা সরকারের সঙ্গে জমি, বিনিয়োগ কাঠামো এবং বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে সলমন খানের। তেলেঙ্গানার রাজ্য সরকারও সলমনের প্রস্তাবে সায় দিয়ে প্রকল্পটিকে স্বাগত জানিয়েছে। কারণ এই ফিল্ম সিটি গড়ে উঠলে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পর্যটনশিল্প চাঙ্গা হওয়ার পাশাপাশি হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে বলেও আশাবাদী উভয় পক্ষ।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে তেলেঙ্গানা দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রির কাছে 'বিনোদন রাজধানী' হয়ে উঠতে পারে। কারণ এমনিতেই বিশ্বের সিনেবাজারে দক্ষিণী ছবির রমরমা। সেখানে সলমন খানের মতো সুপারস্টারের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের টাউনশিপ গড়ে উঠলে যে আখেড়ে ভারতের সিনেশিল্প লাভবান হবে, তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু বলিউড কিংবা মহারাষ্ট্র ছেড়ে দক্ষিণের রাজ্যে সলমনের এহেন বিনিয়োগ ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে, তাহলে কি ভাইজান হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির উপর ভরসা রাখতে পারছেন না, নাকি বলিউডের বক্স অফিসে মন্দা বাজার দেখে দক্ষিণী সিনেইন্ডাস্ট্রির প্রিয় পাত্র হয়ে উঠতে এহেন উদ্যোগ?
