সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশে এত সমস্যা থাকতে কিনা শেষে 'বন্দে মাতরম' নিয়ে সংসদে দশ ঘণ্টার তরজা? রেগে কাঁই বিশাল দাদলানি। বলিউডের স্বনামধন্য গায়ক-সুরকার বরাবরই রাজনৈতিক, সামাজিক ইস্যুতে সরব হয়েছেন। এবার বাঙালির অহংকার 'বন্দে মাতরম'-এর কাটাছেঁড়ায় কেন্দ্রের উদ্দেশে তোপ দাগলেন বিশাল। যদিও তার বিদ্রুপবাণের নেপথ্যে রয়েছে অন্য কারণ। আমজনতার হয়ে গায়ক-সুরকার সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখলেন, 'আলোচনার বিষয়বস্তু কি কম পড়িয়াছিল?'
'বন্দে মাতরম' রচনার দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার লোকসভায় বক্তৃতা রাখেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই আলোচনা সভায় প্রায় দশ ঘণ্টা ধরে শাসকদলের সঙ্গে বিরোধী শিবিরের তরজা চলে। আর সেপ্রসঙ্গ টেনেই আমজনতার হয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন বিশাল দাদলানি। খানিক বিদ্রুপের সুরে বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক-সুরকারের মন্তব্য, "ভাই-বোনেরা, তোমাদের সকলের জন্য দারুণ খবর রয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা জনপ্রিয় দেশাত্মবোধক গান 'বন্দে মাতরম' নিয়ে গতকাল আমাদের সংসদে ১০ ঘণ্টা বাকবিতণ্ডা হয়েছে। মানুষ মন থেকে এই গানটিকে ভালোবাসে। তাই এই তর্ক-বিতর্ক নিয়ে আমার একটা বক্তব্য রয়েছে। বলছি... আমাদের দেশ থেকে বেকারত্ব ঘুচে গিয়েছে। ইন্ডিগো সমস্যার সুরাহা হয়েছে। আর বায়ুদূষণের সমাধানও হয়ে গিয়েছে।" কেন্দ্রকে খোঁচা দিয়ে এখানেই অবশ্য থামেননি বিশাল দাদলানি।
তাঁর সংযোজন, "তোমরা শুধু ভাবো! দশ ঘণ্টা ধরে একটা কবিতা নিয়ে এত তরজা। আর এই উপরোক্ত ইস্যুগুলি নিয়ে সংসদে কোনও উচ্চবাচ্চ্যই নেই, আসলে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে গিয়েছে সম্ভবত। গতকাল সংসদের তরজায় আমি এটুকুই যা বুঝলাম। সংসদের এক মিনিটের খরচ আড়াই লক্ষ টাকা। দশ ঘন্টা মানে ৬০০ মিনিট... এবার আপনারাই হিসেব কষে দেখুন।" এককথায় জনতার টাকায় সরকারের এহেন 'বিতর্ক-বিলাসে' ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন বিশাল। আর বলিউড সুরকারের এহেন ভিডিওবার্তা নেটভুবনে আপাতত দাবানল গতিতে ভাইরাল। বুক ঠুকে সরকারের সমালোচনা করায় অনুরাগীরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন তাঁকে।
