সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলার কৃষিক্ষেত্রকে আরও সমৃ্দ্ধ করতে দ্বিতীয় দফায় ‘কৃষকবন্ধু’ (Krishak Bandhu) প্রকল্প চালু হল আনুষ্ঠানিকভাবে। নবান্ন সভাঘর থেকে ‘নতুন কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভারচুয়াল সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। এর সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় জেলাশাসকদের দপ্তর থেকে প্রকল্পের জন্য মাথা পিছু বরাদ্দ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া শুরু হয়ে গেল। বৃহস্পতিবারই বেশ কয়েকজন কৃষকের হাতে পৌঁছে গেল টাকা। এই প্রকল্পে খেতমজুর, বর্গাদারদের জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। তাঁরা মাথা পিছু চার হাজার টাকা করে পাবেন। এছাড়া বাড়ানো হয়েছে কৃষকদের বার্ধক্যভাতাও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, নতুন প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন ৬০ লক্ষ কৃষক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর এত দ্রুততার সঙ্গে প্রকল্পের বাস্তবায়ন করায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত কৃষকরা।
কথা দিয়েছিলেন, রাজ্যের ক্ষমতায় ফিরলে কৃষকদের (Farmers) জন্য আরও কাজ করবেন। ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের ভাতা বাড়ানো হবে। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে এমনই সব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় ফেরার পর গত সপ্তাহেই রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তা অনুমোদন করা হয়। কৃষকবন্ধু প্রকল্পের ভাতা ৫ হাজার থেকে দ্বিগুণ করার পক্ষে সবুজ সংকেত দেয় মন্ত্রিসভা। তারপর বৃহস্পতিবারই আনুষ্ঠানিক সূচনা করে টাকা প্রদানের কাজ শুরু করে দেওয়া হল। এবং প্রকল্পটি উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। এদিন নবান্ন (Nabanna) থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ”কেন্দ্রীয় প্রকল্প অর্থাৎ পিএম কিষাণ সম্মান যোজনার সুবিধা সব কৃষক পাচ্ছেন না। বর্গাদার, খেতমজুররাও পাচ্ছেন না। কিন্তু কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের সব কৃষককে আনা হয়েছে। খেতমজুরদেরও ভাতা বাড়ানো হয়েছে। দেশের সর্বত্র কৃষক বিক্ষোভ চলছে, কিন্তু বাংলায় কৃষকদের অবস্থা অনেক ভাল।”
[আরও পডুন: ‘আমাকে পেটানোর হুমকি দিচ্ছে রত্না’,পুলিশের দ্বারস্থ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়]
এদিনও কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সঙ্গে কৃষকদের উন্নয়নে রাজ্যের প্রকল্পের তুলনা টানলেন মুখ্যমন্ত্রী। কোথায় কোথায় এগিয়ে রাজ্যের এই প্রকল্প, তা আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন। আসলে, নির্বাচনী আবহে এই দুই প্রকল্প রাজনৈতিক টানাপোড়েনের একটা বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিজেপিও নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে প্রকল্পের ভাতা বাড়ানোর কথা বলে। পালটা তৃণমূল শিবিরও একই প্রতিশ্রুতি দেয়। তবে ভোটের ফলাফলে গেরুয়া শিবিরের ধাক্কায় সেই প্রতিশ্রুতি ধুলোয় মিশে গিয়েছিল। আর কথা রেখে অতি দ্রুত নতুন প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে হাঁটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার।