সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মানহানির মামলায় দু’বছরের জেল যাত্রার জের। খারিজ হয়ে গেল প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ। শুক্রবার রাহুলের সাংসদ খারিজের সুপারিশ করেছে লোকসভার সচিবালয়।
সুরাটের আদালত রাহুলকে দোষী সাব্যস্ত করার পর থেকেই তাঁর উপর সাংসদ পদ বাতিলের খড়্গ ঝুলছিল। কংগ্রেসের তরফেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছিল, রাহুলকে সংসদ থেকে দূরে রাখার উদ্দেশ্যেই বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। শুক্রবার সংসদের সচিবালয় থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হল, বৃহস্পতিবার থেকেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়েছে। তাঁর ওয়ানড় লোকসভা কেন্দ্রটি এখন সাংসদ শূন্য। আসলে, লোকসভার সচিবালয় নিয়ম মেনেই পদক্ষেপ করেছে।
[আরও পড়ুন: ‘আদানিকে গ্রেপ্তার করুন’, অর্থমন্ত্রী ও ইডি দপ্তরে দাবিতে সোচ্চার তৃণমূল]
ভারতের জনপ্রতিনিধি আইনের সেকশন ৮ (৩) অনুযায়ী, কোনও সাংসদ যদি যে কোনও অপরাধে দু’বছর বা তাঁর বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তাঁর সাংসদ পদ বাতিল হতে পারে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি পরবর্তী ৮ বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করতে পারবেন না। অর্থাৎ উচ্চতর কোনও আদালতে এই রায় বাতিল না হলে ২০২৪ সালের লোকসভার লড়াই থেকেও রাহুল ছিটকে যেতে পারেন। আর সেটা রাহুল তথা কংগ্রেসের জন্য আরও বড় ধাক্কা হতে পারে।
[আরও পড়ুন: ১৪০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, দেশের করোনা পরিসংখ্যানে ফের উদ্বেগ]
যদিও রাহুল গান্ধীর কাছে উচ্চতর আদালতে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। তবে কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, রাহুল এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদন করবেন। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টেও (Supreme Court) যেতে পারেন। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির যে ৪৯৯ নম্বর ধারায় কংগ্রেস সাংসদকে ২ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে, সেই ধারায় ২ বছরের শাস্তি হওয়াটা খুব বিরল।