সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তান অশান্ত। তুঙ্গে রাজনৈতিক ডামাডোল। ইমরান খানের গ্রেপ্তারির পর থেকেই দেশটিতে কার্যত গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি। এহেন পরিস্থিতিতে তাঁর দল তেহরিক-ই-ইনসাফকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইমরান লেখেন, ‘প্রায় ৭ হাজার পিটিআই সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হিংসার নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছে তা তদন্ত না করেই আমাদের সমর্থক, নেতৃত্ব এবং মহিলাদের জেলে ঢোকানো হয়েছে। আমাদের দলকে নিষিদ্ধ করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।” তিনি আরও লেখেন , ‘এরই মধ্যে আমাদের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মদতে সুপ্রিম কোর্টের দখল নিচ্ছে গুন্ডারা। সংবিধানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। একবার এমনটা হলে পাকিস্তান নিয়ে যে স্বপ্ন আমরা দেখছি তা শেষ হয়ে যাবে।’
বিশ্লেষকদের মতে, একদা পাক সেনার পোস্টার বয় ছিলেন ইমরান। সেই সমীকরণ পালটে যেতেই ফৌজের বিষনজরে পড়েছেন ‘কাপ্তান’। তাঁকে গদিচ্যুত করেছে সেনাবাহিনী প্রকাশ্যে একথা বারবার বলেছেন তিনি। এবার সেনাই তাঁর দলকে নিশানা করছে বলে ইঙ্গিত করছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ইউক্রেনের ফাঁদে পা! ধ্বংস রাশিয়ার অত্যাধুনিক সুখোই-৩৫-সহ চার বিমান]
এদিকে, আল-কাদির ট্রাস্ট মামলায় ইমরান খানের (Imran Khan) স্ত্রী বুশরা বিবিকে জামিন দিয়েছে লাহোর হাই কোর্ট। আজ সেখানেই একাধিক মামলার শুনানিতে হাজিরা দিতে গিয়েছেন ইমরান। উল্লেখ্য, আগেই তোষাখানা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পিটিআই প্রধান। আল কাদার ট্রাস্ট মামনায় শুনানি শেষ হলেও এখনও রায় ঘোষণা করেনি দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো। পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে সব মিলিয়ে মোট ১২১টি মামলা রুজু হয়েছে। বিশ্বাসঘাতকতা ও ধর্মের অবমাননা থেকে হিংসা ও সন্ত্রাসে উসকানি দেওয়ার মতো নানা অভিযোগে বিদ্ধ ইমরান।