সুকুমার সরকার, ঢাকা: কাজ চলছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য দ্রুত পাইপলাইন তৈরির কাজ করছে বাংলাদেশ (Bangladesh)। সূত্রের খবর, এ মাসের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হবে। আর তা হলে চলতি মাসেই সরাসরি ওই পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে কম খরচে ডিজেল পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের দিনাজপুরে (Dinajpur)। তাতে উত্তরাঞ্চলের ১৬টি জেলায় তেলের চাহিদা পূরণ হবে।
চলতি সপ্তাহেই ভারত থেকে ডিজেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বাংলাদেশ। গত সোমবার রাজধানী ঢাকায় জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ তা ঘোষণা করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, ”পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল (Diesel) আমদানির জন্য ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫ কিলোমিটার-সহ প্রায় ১৩১.৫ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (আইবিএফপি) নির্মাণ করা হয়েছে।” তার মধ্যে ১৩০ কিলোমিটার পাইপলাইন তৈরির কাজ শেষ। রবিবার প্রকল্পের সঙ্গে সংযুক্ত কর্তাব্যক্তিরা আশাপ্রকাশ করেন, এ মাসের মধ্যেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। আর তা হলে চলতি বছরই অনেক কম খরচে ভারত থেকে ডিজেল আমদানি করতে পারবে বাংলাদেশ। জানা গিয়েছে, দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুরের ডিপোয় প্রথম তেল পৌঁছবে। সেখান থেকে ১৬ জেলায় ধাপে ধাপ সরবরাহ করা হবে।
[আরও পড়ুন: মিলছে না অনুমতি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সরস্বতী পুজো করতে চেয়ে আন্দোলনে TMCP]
২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই পাইপলাইনের উদ্বোধন করেন। পরে ২০২০ সালের মার্চে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। ভারতের লুমানিগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) এবং বাংলাদেশের মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড যৌথভাবে কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ প্রায় আড়াই লক্ষ টন ডিজেল আমদানি করবে। পরের বছরগুলিতে তা ৪ থেকে ৫ লক্ষ টন পর্যন্ত বাড়বে। চুক্তির অধীনে সরবরাহ শুরু হওয়ার দিন থেকে ১৫ বছরের জন্য ভারত থেকে ডিজেল কিনবে বাংলাদেশ।
[আরও পড়ুন: বৈবাহিক ধর্ষণ অপরাধ হলে বিয়ের ধারণাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, সুপ্রিম কোর্টে মামলা NGO’র]
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে জ্বালানি তেল আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ব্যারেলে (১৫৯ লিটার) গড়ে ১০ ডলার প্রিমিয়াম (জাহাজ ভাড়া-সহ অন্য খরচ) দিতে হয় বিপিসিকে। তবে ভারত থেকে আনার ক্ষেত্রে ৮ ডলার হতে পারে। প্রতি ব্যারেলে দু’ ডলার কমলে প্রতি এক লক্ষ টনে প্রায় ১৫ লক্ষ ডলার সাশ্রয় করা সম্ভব। তাই ভারত থেকে ডিজেল আমদানি হলে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রাও সাশ্রয় হবে।