গৌতম ব্রহ্ম: করোনার উপসর্গ নিয়ে নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভরতি দুই ডাক্তারি পড়ুয়া। বুধবার রাতে তাঁদের শীরের উপসর্গ দেখে পরীক্ষা করতে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপরই NRS-এর আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করে নেওয়া হয় তাঁদের। দুই ছাত্রীর লালারসের নমুনা নাইসেডে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসবে। এদিকে আরও এক বিদেশ ফেরত যুবককে আর জি কর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভরতি করা হয়েছে। বেলেঘাটা আইডিতে আরও ২৫ জনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। সবমিলিয়ে কলকাতায় করোনা আক্রান্ত সন্দেহে আইসোলেশনে রয়েছেন মোট ২৭ জন। তবে রাতারাতি এই সংখ্যা বাড়তে থাকায় আতঙ্কে ভুগছেন কলকাতার বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার কলকাতার প্রথম করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলে। নবান্নের এক আমলার ছেলে লন্ডন থেকে করোনার উপসর্গ নিয়ে ফেরেন। তারপরেও রোগ গোপন করে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান তিনি। অবশেষে মঙ্গলবারই তাঁকে বেলেঘাটা আইডিতে ভরতি করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের পরীক্ষা করা হয়। তবে তাঁদের দেহে করোনার উপস্থিতির হদিশ মেলেনি। তবে রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে তাঁদের আগামী ১৪দিন রাথার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ওই আমলা পুত্রের কাগজপত্র পরীক্ষা করায় ১২ দিনের জন্য বিমানবন্দরের দুই অভিবাসন কর্তাকে কোয়ারেন্টাইন পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন : রক্তাল্পতায় ভুগবে কলকাতা!করোনার জেরে সংকটে ব্লাড ব্যাংকগুলি]
নীলরতন সরকার হাসপাতালে ভরতি এক পড়ুয়া কেরলের বাসিন্দা। তিনি আহমেদ ডেন্টার কলেজের MDS-এর পড়ুয়া। বুধবার রাতে তাঁর শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে ডেন্টাল কলেজের প্রিন্সিপাল বেলেঘাটা আইডিতে ফোন করেন। কিন্তু সেখানকার ৪০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ডে ২৫ জনের বেশি রোগী রয়েছেন। বাকি শয্যাগুলি জরুরি পরিস্থিতির জন্য রাখা রয়েছে। ফলে দুই ছাত্রীকে ভরতি নিতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন বেলেঘাটা আইডি কর্তৃপক্ষ। এরপরই নীলরতন সরকার হাসপাতালে ফোন করা হয়। তাঁরা দুই ছাত্রীকে পরীক্ষা করে সঙ্গে সঙ্গে ভরতি নিয়ে নেন। এদিকে বুধবারই বিদেশ থেকে ফিরে আসা এক ব্যক্তি শারীরিক পরীক্ষা করতে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে এসেছিলেন। তাঁকে আর জি করে পাঠানো হয়। বর্তমানে সেই হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন : করোনা নিয়ে গুজব ছড়ানোর জের, লালবাজারে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ ১২ জনকে]
The post করোনা আতঙ্কে কাঁপছে কলকাতা, ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের আইসোলেশনে আরও তিন appeared first on Sangbad Pratidin.
