সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দল থেকে বাদ পড়েছেন তারকা ক্রিকেটার বাবর আজম। এই মুহূর্তে তাঁর নাকি দলে ফেরার একটাই রাস্তা, উইকেটকিপিং করা। বাবরকে নাকি উইকেটকিপিং করার সুপারিশ করেছেন পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ মাইক হেসন। যা নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেটে এখন রীতিমতো চাঞ্চল্য। রশিদ লতিফ, বাসিত আলি, মহসিন খান, মঈন খান, সিকান্দার বখতের মতো প্রাক্তনরা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তাঁদের মতে, বাবরের মতো তারকা ক্রিকেটারদের প্রতি 'অন্যায়' করা হচ্ছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছেন হেসন।
হেসন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে বাবরের এমন কোনও আলোচনাই হয়নি। তিনি বলেন, "অনেকেই বলছেন, আমি নাকি বাবরকে উইকেটকিপিং করার পরামর্শ দিয়েছি। অথচ আমাদের মধ্যে এ ব্যাপারে কোনও আলোচনাই হয়নি। বাবর ওর গোটা কেরিয়ারে কখনও কিপিং করেনি। কীভাবে আমি ওকে এমন বলতে পারি? একজন প্রাক্তন অধিনায়ক এবং সিনিয়র ক্রিকেটারের সঙ্গে এমন আচরণই বা কেন করতে যাব!"
এখানেই শেষ নয়। হেসনের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তিনি নাকি বলেছেন, যাঁদের স্ট্রাইক রেট ১৫০-এর নিচে, তাঁরা টি-টোয়েন্টি দলে জায়গা পাবেন না। এই অভিযোগও স্বীকার করেননি তিনি। হেসনের সংযোজন, "ক্রিকেটারদের এটাও বলিনি যে, দলে জায়গা ধরে রাখতে গেলে দেড়শোর বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে ব্যাট করতে হবে। তবে, ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট উন্নতিতে আমরা কাজ করছি।"
তাঁর কথায়, "আমরা এমন খেলোয়াড়দের দিকে নজর দিচ্ছি, যারা যে কোনও জায়গায় ব্যাটিং করতে পারে। এবং একাধিক ভূমিকা পালনে তারা প্রস্তুত। এর অর্থ এই নয় যে, অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের কোনও জায়গা থাকবে না।" কেবল বাবর আজম নন, টি-টোয়েন্টি দল থেকে ছাঁটাই করা হয়েছে মহম্মদ রিজওয়ান, শাহিন আফ্রিদিদেরও। উল্লেখ্য, ২০ জুলাই থেকে শুরু হতে চলা টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তান-বাংলাদেশ। সিরিজের সমস্ত ম্যাচ বাংলাদেশের মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে।
