স্টাফ রিপোর্টার: আইপিএল নিলামে বাংলার প্রাপ্তি বলতে শুধুই আকাশ দীপ। নিলাম পর্বের প্রথম রাউন্ডে অবিক্রিত থেকে যান আকাশ। শেষ দিকে তাঁকে এক কোটিতে তুলে নেয় কেকেআর। আকাশ ছাড়াও বাংলার বেশ কয়েকজন ছিলেন নিলামে। করণ লাল নিয়ে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি আগ্রহ দেখায়নি। অভিমন্যু ঈশ্বরণ শেষ মুহূর্তে নিলামের তালিকায় ঢুকে পড়লেও, তিনি দল পাননি। শেষ দিকে ব্রিজেশ শর্মাকে নেয় রাজস্থান রয়্যালস।
যার পর থেকে বঙ্গ ক্রিকেটে আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তথ্য বলছে, বাংলা ক্রিকেটার হিসেবে নিলামে উঠেছিলেন ব্রিজেশ। কিন্তু আদতে তো তিনি বাংলার ক্রিকেটারই নন! বলা হচ্ছে, করণ এবার সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টিতে যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছিলেন। তবুও তিনি নিলামে দল পান না। অভিমন্যু বাংলার অধিনায়ক। কিন্তু তাঁকে আইপিএলে নেওয়া হয় না। অথচ ভিন রাজ্যের এক ক্রিকেটার বাংলা থেকে আইপিএল খেলছেন!
গতবার সিএবি লিগে ব্রিজেশ খেলেছিলেন স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবেই। যার ফলে বেঙ্গল প্রো টি-টোয়েন্টি লিগেও খেলার সুযোগ পান ব্রিজেশ। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরেই স্থানীয় ক্রিকেট নিয়ে একটা অভিযোগ উঠছিল। ভিন রাজ্যের ক্রিকেটাররা নাকি নথি বদলে স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন। সেটা আটকানোর জন্যই সিএবি এবার থেকে নতুন নিয়ম চালু করে। ক্রিকেটারদের স্থানীয় ব্যাঙ্কের স্টেটমেন্ট জমা দিতে বলা হয়। উদ্দেশ্য একটাই, যাতে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারদের আধিক্য কমানো যায়।
ব্রিজেশ এবার খিদিরপুরের হয়ে ক্লাব ক্রিকেটে খেলছেন। স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে এবছরও ব্রিজেশকে নথিভুক্ত করানো হয়। কিন্তু সিএবিতে ব্রিজেশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা পড়ে। বলা হয়, ব্রিজেশ ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার হয়েও স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে খেলছেন। সিএবি তদন্ত শুরু করে। সেখানে দেখা যায় ব্রিজেশ ব্যাঙ্কের যে নথি জমা দিয়েছিলেন, সেটা ঠিক নয়। অর্থাৎ এখানে তাঁর তিন বছর অ্যাকাউন্ট নেই। ওই অ্যাকাউন্ট ট্রান্সফার করানো হয়। যা নিয়ে টুর্নামেন্ট কমিটি বৈঠকে বসে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, খিদিরপুর যদি ব্রিজেশকে খেলাতে চায়, তাহলে তাঁকে ভিন রাজ্যের ক্রিকেটার হিসেবে খেলাতে হবে। স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিনি খেলতে পারবেন না।
আইপিএল নিলামের পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে, ব্রিজেশ যদি ভিন রাজ্যের ক্রিকেটারই হবেন, তাহলে আইপিএল নিলামে তাহলে কীভাবে বাংলা থেকে তাঁর নাম নথিভুক্ত হল? সিএবির তরফ থেকে কেউ কেউ বলছিলেন, যেহেতু গতবার স্থানীয় ক্রিকেটার হিসেবে ব্রিজেশ খেলেছিলেন, তাই নিয়ম অনুযায়ী বাংলা থেকে নিলামে তাঁর নাম পাঠানো হয়েছিল। তাহলে কী দাঁড়াল? নিয়মের 'ফাঁক' গলে বাংলা থেকে আইপিএলে সুযোগ পেয়ে গেলেন ব্রিজেশ!
