সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের কাছে মার খেয়েও শিক্ষা হয়নি পাকিস্তানের। নিজের আনন্দেই মত্ত তারা। এমনকী 'বিজয় মিছিল'ও বের হয়েছে করাচিতে। আর সেই মিছিলের প্রধান মুখ প্রাক্তন ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদি। শুধু গাড়ি নিয়ে বেরোলে তাও একরকম কথা ছিল। ক্রমাগত উসকানিমূলক ভাষণ দিয়ে গেলেন, পাক আর্মির জয়গাথা গাইলেন। আর তারপরই নেটদুনিয়ার প্রশ্ন, ইমরান খানের মতো আফ্রিদিও কি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চাইছেন?
হেরেও লজ্জা নেই পাকিস্তানের। 'যুদ্ধজয়ের আনন্দে' করাচিতে বিজয় মিছিল বেরিয়েছে। পাকিস্তানের পতাকা লাগিয়ে দিব্যি গাড়ি করে ঘুরছেন শাহিদ আফ্রিদি। ভারতকে নিশানা করে উসকানিমূলক ভাষণও দেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। সেখানে বলেন, "আমাদের সেনা বলেছিল, যখন আমরা উত্তর দেব, তখন গোটা বিশ্ব দেখবে। আর এখন গোটা বিশ্ব সেটা দেখেছে।" আসলে কী দেখেছে? ভারতীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে নিহত হয়েছে ১০০ জনের বেশি জঙ্গি, ৩৫-৪০ পাক সেনা।
আফ্রিদি সেসব তথ্য নিশ্চয়ই জেনেও না জানার ভান করছেন। বরং বড়াই করে তাঁর বক্তব্য, "আমাদের সেনাবাহিনী দেখিয়ে দিয়েছে, তারা কতটা শক্তিশালী। কিন্তু ভারতীয় সেনার জন্য বহু সাধারণ মানুষের মৃত্যু ঘটেছে। তবু আমি পাকিস্তানের সেনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার দেশ শান্তির দেশ। আমরা নিজেরাও সন্ত্রাসবাদের শিকার। আমাদেরও হাজার-হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। তাহলে ১০ মিনিটের মধ্যে কোনও তদন্ত ছাড়া কীভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করছ?"
ঘটনা হচ্ছে, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর থেকেই লজ্জার মাথা খেয়ে ভারতকে আক্রমণ করে যাচ্ছেন আফ্রিদি। এবার যেভাবে করাচির সভায় ভাষণ দিলেন, তাতে নেটিজেনদের বক্তব্য, এবার বোধহয় প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন আফ্রিদি। ঠিক যেভাবে আরেক প্রাক্তন ক্রিকেটার ইমরান খান নিজস্ব দল গড়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীও হয়েছিলেন। তবে পাক রাজনীতির ঠেলায় এখন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক জেলবন্দি। সেটাও অনেকে আফ্রিদিকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন। আবার তাঁদের বিজয় মিছিল দেখে খোঁচাও দিচ্ছেন নেটিজেনরা, 'ভাগ্যিস, ক্রিকেটটা সরাসরি দেখান হয়। নাহলে বাড়ি ফিরে আফ্রিদিরা বলত, বিশ্বকাপ জিতে এসেছি।'
