সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার ব্যর্থতার জের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ হারের পরই গৌতম গম্ভীরকে কোচের পদ থেকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছিল বিসিসিআই। এমনকী তাঁর উত্তরসূরির নামও নাকি ঠিক হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। এমনটাই দাবি করছে সংবাদসংস্থা পিটিআই।
সাদা বলের ক্রিকেটে একটি আইসিসি ট্রফি একটি এশিয়া কাপ ট্রফি জিতলেও টেস্ট ক্রিকেটে কোচ হিসাবে 'চূড়ান্ত ব্যর্থ' গৌতম গম্ভীর। তাঁর আমলে এ পর্যন্ত ১৮টি টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। এর মধ্যে সাতটিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ঘরের মাঠে ৯টি টেস্ট খেলে ৫টিতেই কুপোকাত হয়েছেন যশস্বী জয়সওয়ালরা। চলতি WTC সাইকেলে এখনও পর্যন্ত ৯টি টেস্ট খেলেছে টিম ইন্ডিয়া। এর মধ্যে ৪ টেস্টে জয় পেলেও চারটিতে হেরে গিয়েছেন শুভমান গিলরা। একটি ম্যাচ ড্র করেছে ভারত।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের ভাবাচ্ছে কোচ গৌতম গম্ভীরের লজ্জার রেকর্ড। সূত্রের খবর, সেসব ভেবেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হারের পর গম্ভীরের বদলে এনসিএ প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণকে টেস্টের কোচ করার কথা ভেবেছিল বিসিসিআই। বোর্ডের অন্দরে বেসরকারিভাবে আলোচনা হয়েছিল গম্ভীরকে ছাঁটাই করার ব্যাপারে। পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা। তবে সেই পরিকল্পনা কার্যকর হয়নি লক্ষ্মণের অনিচ্ছায়। আসলে ভিভিএস এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের গুরুদায়িত্ব নিতে নারাজ। তিনি জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান পদেই সন্তুষ্ট।
পিটিআই সূত্র বলছে, লক্ষ্মণ রাজি না হওয়ায় এখনই গম্ভীরকে সরানোর পরিকল্পনায় সাময়িকভাবে ইতি টানা হয়েছে। বোর্ডের প্রভাবশালী মহল এখনও তাঁকে কোচ রাখার পক্ষে। ২০২৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপ পর্যন্ত সাদা বলের ক্রিকেটে তাঁর হটসিটে থাকা নিয়ে কোনও সংশয়ও নেই। তবে টেস্টে আগামী দিনে তিনি কোচ থাকবেনই, সেটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। টি-২০ বিশ্বকাপে দল সফল না হলে, ফের ছুরি কাঁচি নিয়ে কাটাছেড়ায় বসতে পারেন বোর্ড কর্তারা।
