shono
Advertisement
Champions Trophy 2025

শামির পঞ্চবাণ, গিলের সেঞ্চুরিতে বাংলার বাঘ বধ, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রাজকীয় শুরু ভারতের

ভারত-পাক মহারণের আগে দুরন্ত ফর্মে টিম ইন্ডিয়া।
Published By: Sulaya SinghaPosted: 09:51 PM Feb 20, 2025Updated: 11:27 PM Feb 20, 2025

বাংলাদেশ: ২২৮/১০ (হৃদয়-১০০, জাকের-৬৮, শামি-৫/৫৩, হর্ষিত-৩১/৩)
ভারত: ২৩১/৪ (রোহিত-৪১, গিল-১০১*, রাহুল-৪১*, রিশদ- ২/৩৮)
ভারত জয়ী ৬ উইকেটে

Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যাটিং নাকি বোলিং? চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের উদ্বোধনী ম্য়াচে নজর কাড়ল কোন বিভাগ? তৃপ্তির হাসি হেসে রোহিত শর্মা বলতেই পারেন, একেই বলে টিম গেম। যেখানে কামব্যাক করে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে জশপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতির ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে দেন মহম্মদ শামি। আর রোহিত-কোহলিদের নির্ভরশীলতা কাটিয়ে কঠিন পিচে ঠান্ডা মাথায় সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে শুভমান গিল জানান দিয়ে দেন, তিনিই টিম ইন্ডিয়ার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ।

গত পাঁচটা ওয়ানডের দিকে তাকালে দেখা যাবে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারত জিতেছিল দুটিতে। আর মুশফিকুররা তিনটিতে জয়ী হন। তবে সেই বাংলাদেশের সঙ্গে এই দলের বিস্তর ফারাক রয়েছে। দলে অভিজ্ঞ তারকার অভাব স্পষ্ট। বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতেই যা বেশ ভালোই বোঝা গিয়েছিল। পাওয়ার প্লে-তেই একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং লাইন আপকে রীতিমতো চাপে ফেলে দেন শামি-হর্ষিতরা। যদিও সেসব সামলে চাপের মুখে দুরন্ত শতরান করেন তওহিদ হৃদয়।

দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হল মোট ৯৬.৩ ওভার। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারই খেললেন হৃদয়রা। অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ একশোর গণ্ডিও পেরতে পারবে কি না। কিন্তু ক্যাচ ফস্কানোর খেসারত দিতে হয় ভারতকে। আর সেই সুযোগেই স্পিন-সুইংয়ের ধাক্কা সামলে শতরান করে ফেলেন হৃদয়। তাঁর যোগ্য সঙ্গী হয়ে ওঠেন জাকের আলি। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুতেই  শামি যেভাবে নিজেকে মেলে ধরলেন, তা নিঃসন্দেহে স্বস্তি দেবে রোহিত ও গম্ভীরকে।

ম্যাচের আগে রোহিত জানিয়েছিলেন এদিন টসে জিতলে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। সেখানে বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্তও বুমেরাং হয়ে যায়। ফলে কোনও সময়ই ভারতের উপর চাপ তৈরি করে পারেনি বাংলাদেশ। ওয়ানডে-তে ২২৮ রান তাড়া করা এখন কার্যত জলভাত। তাও আবার ব়্যাঙ্কিং শীর্ষে থাকা ভারতের কাছে। তাই ভারত ব্যাট করতে নামার আগেই খেলা একপ্রকার একপেশে হয়ে গিয়েছিল। শেষমেশ ২১ বল বাকি থাকতেই ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করেন কেএল রাহুল।

হ্যাঁ, এটা ঠিক যে এদিন রোহিত কিংবা বিরাটের বড় ইনিংসের সাক্ষী থাকতে পারল না দুবাই। তবে নিরাশ হতে হয়নি। সমর্থকদের মন ভালো করা সেঞ্চুরি উপহার দিলেন শুভমান গিল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এটাই তাঁর প্রথম শতরান। আর ওয়ানডে ক্রিকেটে অষ্টম।

দুবাই উড়ে যাওয়ার আগে প্রাক্তনীরা বারবার রোহিতকে একটা পরামর্শই দিয়েছেন। একজনের উপর থেকে নির্ভরশীলতা কাটাতে হবে। টিম গেম খেলতে হবে। লক্ষ্মীবারে যেন বড়দের আজ্ঞাই পালন করল দল। ভারত-পাক মহারণের আগে দুরন্ত ফর্মে টিম ইন্ডিয়া। ক্রিকেটার আর সমর্থকদের পাশাপাশি নিশ্চিত ভাবে আজ দারুণ তৃপ্ত অগ্নিপরীক্ষায় বসা গৌতম গম্ভীর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • দুই ইনিংস মিলিয়ে খেলা হল মোট ৯৬.৩ ওভার। যেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারই খেললেন হৃদয়রা।
  • অথচ একটা সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ একশোর গণ্ডিও পেরতে পারবে কি না।
  • কিন্তু ক্যাচ ফস্কানোর খেসারত দিতে হয় ভারতকে।
Advertisement